উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী’র নির্ধারিত প্রশ্নে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কবি চাঁদনী মাহরুবা। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ; এভাবে জল বাড়তে থাকলে আমি মিথ্যেবাদী হয়ে যাবো ও মৃত্যুস্মৃতি নিয়ে চা-আলাপ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও সম্পাদক সাজেদুর আবেদীন শান্ত—
কেমন আছেন? বর্তমানে কোন বইটি পড়ছেন?
চাঁদনী মাহরুবা : ভালো আছি। চারদিকের ব্যস্ততায় খুব বেশি কিছু পড়া হয়ে উঠছে না। একটা বই পড়া শুরু করেছিলাম সময় নিয়ে, সেটাই পড়ছি। বইটি দ্রাবিড় সৈকতের একটা গবেষণামূলক বই। নাম বাংলার চিত্রকলা।
আপনি লেখেন কেনো?
চাঁদনী মাহরুবা : লিখি কারণ লেখা ছাড়া, আর কোন ভাবে আমি নিজেকে প্রকাশ করতে জানি না।
কী লিখতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন?
চাঁদনী মাহরুবা : কবিতা লিখতেই বেশি পছন্দ করি। কারণ, কবিতা লেখা ছাড়া আর কোন ভাবে আমি নিজেকে প্রকাশ করতে জানি না বা প্রকাশ করতে শিখিনি। কবিতা আমার একটা আশ্রয়ের জায়গা।
লেখালেখির ক্ষেত্রে দেশিবিদেশি কোন লেখক আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
চাঁদনী মাহরুবা : কবিতার ক্ষেত্রে জীবনানন্দ দাশ তো অবশ্যই৷ এছাড়া আমাদের লিটলম্যাগের কর্নধার দ্রাবিড় ভাই, সঞ্জয় দা এছাড়াও অনেক সমসাময়িক কবিদের লেখা সবসময় অনুপ্রেরণার যোগায়। সবার নামতো বলে শেষ হবে না।
লেখার সময় পাঠকের কোনো চাহিদার দিক বিবেচনায় রাখেন কি?
চাঁদনী মাহরুবা : পাঠকের চাহিদা চিন্তা করে আসলে কখনো লিখি নাই। আমি মূলত নিজের জন্য লিখি। তবে চেষ্টা করি লেখাটা যেন আরামদায়ক হয় পাঠকের জন্য।
একজন পাঠক আপনার লেখা পড়বেন কেন?
চাঁদনী মাহরুবা : একজন পাঠক যদি সত্যিকার অর্থেই কবিতা ভালোবেসে থাকে, তাহলে সে চাইবে সমসাময়িক কবিদের লেখা পড়তে। আর প্রত্যেক কবির চিন্তা-ভাবনাগুলো মূলত একই। আমরাতো চাই, ভাবনাগুলোকে লিপিবদ্ধ করতে। সেই কাজটি করতে থাকলেও, আমাদের প্রত্যকের জার্নিটা ভিন্ন। আমি চেষ্টা করেছি সে পথটিকে মসৃন রাখতে। কবিতায় ব্যবহৃত নতুন শব্দ ও মেটাফোরগুলো একটা চমক রাখবে, ভাবতে বাধ্য করবে।
আপনার প্রিয় গল্পকার কারা? কেন প্রিয়!
চাঁদনী মাহরুবা : সেভাবে প্রিয় বলতে অবশ্যই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-এর গল্প বা উপন্যাস ভালোবাসি। এছাড়া এখন যারা লিখছেন তাদের মধ্যে হরিশংকর জলদাস আমার অন্যতম পছন্দের লেখক।
এবারের বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
চাঁদনী মাহরুবা : আমার দুটি বই এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে। তবে এবারের বই মেলায় আমার নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘মৃত্যুস্মৃতি নিয়ে চা-আলাপ’ বইটি থাকছে। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বৈতরনীতে, স্টল নম্বর ৪৫১। এছাড়া রকমারি থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে। আর প্রথম বইটির প্রথম মূদ্রণ শেষ হয়ে গেছে বিধায়, বইটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ইচ্ছে আছে ২য় মুদ্রন ছাপাবার।
বইমেলায় গিয়েছেন কি? পরিবেশ কেমন দেখলেন?
চাঁদনী মাহরুবা : এবার বইমেলায় সর্বসাকুল্যে ৩ বার যাওয়া হয়েছে। পরিবেশ মন্দ নয় তবে কিছুদিন আগের মেলায় হামলার ঘটনাটা কষ্ট দিয়েছে অবশ্যই৷
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চান—
চাঁদনী মাহরুবা : বইমেলায় আগত পাঠকদের একটা কথাই বলতে চাই, প্রবীণ সাহিত্যকদের সাথে সাথে নতুন লেখকদেরও বই কিনুন। আর পাঠের চর্চা থাকা আমাদের মতো দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পাঠ চর্চা অব্যাহত রাখুন।
1 Comments
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
ReplyDelete