উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী’র নির্ধারিত প্রশ্নে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কথাসাহিত্যিক শফিক রিয়ান। তার প্রকাশিত উপন্যাস- আজ রাতে চাঁদ উঠবেনা(২০২১), মেঘ বিষাদের দিন (২০২২), বিষাদের ছায়া (২০২৪), বিসর্জন (২০২৫) কাব্যগ্রন্থ- বিধ্বস্ত নক্ষত্র(২০২২), নিষিদ্ধ করে দাও সূর্যাস্ত (২০২৩)। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও সম্পাদক সাজেদুর আবেদীন শান্ত—
কেমন আছেন? বর্তমানে কোন বইটি পড়ছেন?
শফিক রিয়ান : ভালো আছি। বইমেলার সময় চলছে। পড়ার চেয়ে বই সংগ্রহের দিকেই বর্তমানে ঝোকটা বেশি।
আপনি লেখেন কেনো?
শফিক রিয়ান : জীবনানন্দের জন্য। ব্যক্তিগত আনন্দবোধ থেকেই মূলত বেশি লেখা হয়। তবে পাঠকের এমন অভাবনীয় সাড়া এখন তাদের জন্যও লিখতে বাধ্য করায়।
কী ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন?
শফিক রিয়ান : সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে তো লিখি না। যখন যেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে, তা নিয়ে জানাশোনা বাড়ানোর চেষ্টা করি। নিজেকে ওই বিষয়টার সাথে কানেক্ট করবার চেষ্টা করি। এরপর মন যদি বলে, এই বিষয় নিয়ে লিখা যায়, তাহলে লিখতে শুরু করি।
লেখালেখির ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোন লেখক আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
শফিক রিয়ান : বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্যার হেনরি রাইডার হেগার্ড, আর অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদ।
লেখার সময় পাঠকের কোনো চাহিদার দিক বিবেচনায় রাখেন কি?
শফিক রিয়ান : পাঠক আমার উপর রাগ করবেন কিনা জানি না, তবে সত্যি বলতে পাঠকের চাহিদার বিবেচনাটা আমি খুব কমই করি। তার চেয়ে বরং গল্পের চরিত্রের চাহিদা পূরণের ব্যাপারটাই আমি অধিক বিবেচনায় রাখি। আর স্বার্থপরের মতো কখনো কখনো আত্মচাহিদার কথাটাও চিন্তা করি।
একজন পাঠক আপনার লেখা পড়বেন কেন?
শফিক রিয়ান : জীবনকে আমি অনেকগুলো দিক থেকে দেখেছি। জীবনের প্রয়োজনে সমাজের সকল শ্রেণীর৷ পেশার মানুষের সাথে মিশেছি। চোর, সন্যাসী থেকে শুরু করে পুলিশ, প্রতারক। শ্রমজীবী থেকে বুদ্ধিজীবী; সব ধরনের মানুষের পরিবেশটা খুব কাছ থেকে দেখেছি। জীবনের বৈচিত্র্যময় স্বাদ আমি পেয়েছি নানাভাবে। আমার লেখায় সেই জীবনটাকেই তুলে আনার চেষ্টা করি। জীবন এবং জীবনের বোধকে জানার বাসনা থেকেই পাঠকের উচিৎ আমার বই পড়া।
আপনার প্রিয় গল্পকার কারা? কেন প্রিয়!
শফিক রিয়ান : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথকে বিশ্লেষণ করবার খুব একটা প্রয়োজন বোধহয় নেই। বাংলা সাহিত্যের কালপুরুষ তিনি। তার প্রতিটা কথার গভীরতা, গুরুত্ব, দর্শন আমাকে ভাবায়। কখনো কখনো তার গল্প বলার ধরণ আমাকে হিংসা করতে বাধ্য করে। চিন্তা করি, একটা মানুষের চিন্তার গভীরতা কত বেশি হলে এইভাবে লিখা যায়!
এবারের বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
শফিক রিয়ান : বিসর্জন। তবে এর সাথে পূর্বে প্রকাশিত অন্যান্য বইগুলোও থাকবে।
বইমেলায় গিয়েছেন কি? পরিবেশ কেমন দেখলেন?
শফিক রিয়ান : গিয়েছি। আগের চেয়ে ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চান—
শফিক রিয়ান : আপনারা মেলায় আসুন, বই কিনুন, বই পড়ুন। কিনতে ইচ্ছে না করলেও মেলায় আসুন। বই হাতে নিন। উল্টেপাল্টে দেখুন। বইয়ের এই জগৎটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বই পড়া এবং কেনার বিকল্প নেই। এর গুরুদায়িত্বটা আপনাদের হাতেই। আর এই মেলা, লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের প্রাণের মেলা। কিন্তু মেলার প্রাণ আপনারা, পাঠকেরা।
কেমন আছেন? বর্তমানে কোন বইটি পড়ছেন?
শফিক রিয়ান : ভালো আছি। বইমেলার সময় চলছে। পড়ার চেয়ে বই সংগ্রহের দিকেই বর্তমানে ঝোকটা বেশি।
আপনি লেখেন কেনো?
শফিক রিয়ান : জীবনানন্দের জন্য। ব্যক্তিগত আনন্দবোধ থেকেই মূলত বেশি লেখা হয়। তবে পাঠকের এমন অভাবনীয় সাড়া এখন তাদের জন্যও লিখতে বাধ্য করায়।
কী ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন?
শফিক রিয়ান : সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে তো লিখি না। যখন যেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে, তা নিয়ে জানাশোনা বাড়ানোর চেষ্টা করি। নিজেকে ওই বিষয়টার সাথে কানেক্ট করবার চেষ্টা করি। এরপর মন যদি বলে, এই বিষয় নিয়ে লিখা যায়, তাহলে লিখতে শুরু করি।
লেখালেখির ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোন লেখক আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
শফিক রিয়ান : বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্যার হেনরি রাইডার হেগার্ড, আর অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদ।
লেখার সময় পাঠকের কোনো চাহিদার দিক বিবেচনায় রাখেন কি?
শফিক রিয়ান : পাঠক আমার উপর রাগ করবেন কিনা জানি না, তবে সত্যি বলতে পাঠকের চাহিদার বিবেচনাটা আমি খুব কমই করি। তার চেয়ে বরং গল্পের চরিত্রের চাহিদা পূরণের ব্যাপারটাই আমি অধিক বিবেচনায় রাখি। আর স্বার্থপরের মতো কখনো কখনো আত্মচাহিদার কথাটাও চিন্তা করি।
একজন পাঠক আপনার লেখা পড়বেন কেন?
শফিক রিয়ান : জীবনকে আমি অনেকগুলো দিক থেকে দেখেছি। জীবনের প্রয়োজনে সমাজের সকল শ্রেণীর৷ পেশার মানুষের সাথে মিশেছি। চোর, সন্যাসী থেকে শুরু করে পুলিশ, প্রতারক। শ্রমজীবী থেকে বুদ্ধিজীবী; সব ধরনের মানুষের পরিবেশটা খুব কাছ থেকে দেখেছি। জীবনের বৈচিত্র্যময় স্বাদ আমি পেয়েছি নানাভাবে। আমার লেখায় সেই জীবনটাকেই তুলে আনার চেষ্টা করি। জীবন এবং জীবনের বোধকে জানার বাসনা থেকেই পাঠকের উচিৎ আমার বই পড়া।
আপনার প্রিয় গল্পকার কারা? কেন প্রিয়!
শফিক রিয়ান : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথকে বিশ্লেষণ করবার খুব একটা প্রয়োজন বোধহয় নেই। বাংলা সাহিত্যের কালপুরুষ তিনি। তার প্রতিটা কথার গভীরতা, গুরুত্ব, দর্শন আমাকে ভাবায়। কখনো কখনো তার গল্প বলার ধরণ আমাকে হিংসা করতে বাধ্য করে। চিন্তা করি, একটা মানুষের চিন্তার গভীরতা কত বেশি হলে এইভাবে লিখা যায়!
এবারের বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
শফিক রিয়ান : বিসর্জন। তবে এর সাথে পূর্বে প্রকাশিত অন্যান্য বইগুলোও থাকবে।
বইমেলায় গিয়েছেন কি? পরিবেশ কেমন দেখলেন?
শফিক রিয়ান : গিয়েছি। আগের চেয়ে ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চান—
শফিক রিয়ান : আপনারা মেলায় আসুন, বই কিনুন, বই পড়ুন। কিনতে ইচ্ছে না করলেও মেলায় আসুন। বই হাতে নিন। উল্টেপাল্টে দেখুন। বইয়ের এই জগৎটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বই পড়া এবং কেনার বিকল্প নেই। এর গুরুদায়িত্বটা আপনাদের হাতেই। আর এই মেলা, লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের প্রাণের মেলা। কিন্তু মেলার প্রাণ আপনারা, পাঠকেরা।
0 Comments