উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী’র নির্ধারিত প্রশ্নে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কবি রূপক বিধৌত সাধু। তার প্রকাশিত বইসমুহ; কবিতা ‘আশা’ ও ‘জলছবি’, গল্পগ্রন্থ ‘কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়’। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও সম্পাদক সাজেদুর আবেদীন শান্ত—
কেমন আছেন? বর্তমানে কোন বইটি পড়ছেন?
রূপক বিধৌত সাধু : হ্যাঁ, ভালোই আছি। একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে আর কী? আর পড়ার কথা বলছেন তো? এ মুহূর্তে পড়ছি পল্লিকবি জসীম উদদীনের ‘বোবা কাহিনী’। ফরিদপুর অঞ্চলের লোকজীবনভিত্তিক দুই প্রজন্মের জীবন সংগ্রামের সফলতা ও বিফলতার কাহিনী নিয়ে চিরায়ত এই উপন্যাস।
আপনি লেখেন কেন?
রূপক বিধৌত সাধু : এ প্রশ্নের যথাযথ উত্তর এক কথায় দেওয়া কঠিন। একজন খেলোয়াড় যে জন্য খেলে, একজন গায়ক যে জন্য গায়, একজন অভিনেতা যে জন্য অভিনয় করে বলা যায় আমিও সেজন্য লেখালেখি করি। সংক্ষেপে বলব, আত্মসন্তুষ্টির জন্য লিখি। যেসব কথা মন খুলে বলতে পারি না, লিখে প্রকাশ করি।
কী ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন?
রূপক বিধৌত সাধু : কবিতা দিয়ে আমার লেখালেখি শুরু। পরবর্তীতে কথাসাহিত্যে আসা। বিষয়বস্তু হিসেবে আমি সামাজিক পটভূমিই বেশি আসে আমার লেখায়। ইদানীং বাঙালির মনস্তত্ব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বেশি করছি।
লেখালেখির ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোন লেখক আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
রূপক বিধৌত সাধু : অনেক আছে। বিদেশিদের মধ্যে আছেন রুশ সাহিত্যিক আলেক জান্ডার পুশকিন, ফিওদোর দস্তয়েভস্কি, ইংলিশ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারসহ আরও অনেকে। দেশিয়দের মধ্যে বিভূতি, তারাশঙ্কর, মানিক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও আছেন।
লেখার সময় পাঠকের কোনো চাহিদার দিক বিবেচনায় রাখেন কি?
রূপক বিধৌত সাধু : আগে নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগাটাকেই অগ্রাধিকার দিতাম। ইদানীং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টা মাথায় রাখি। লেখক তো সমাজের দর্পণের মতো। তাই না? পাঠক কোন পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যাপারটাও মাথায় রাখি।
একজন পাঠক আপনার লেখা পড়বেন কেন?
রূপক বিধৌত সাধু : সবাই তো সব লেখা পড়ে না। আমরা যেমন সব ধরনের গান শুনি না। আমার লেখাও যে সবাই পড়বেন, তাও না। তবে একশ্রেণির পাঠক আমার লেখা পড়বেন যারা জীবন-বাস্তবতা উপলব্ধি করতে চান। আমার লেখায় আরোপিত কিছু থাকে না। জীবনকে রুঢ়ভাবে উপলব্ধি করতে হলে আমার লেখা পড়তে হবে।
আপনার প্রিয় গল্পকার কারা? কেন প্রিয়!
রূপক বিধৌত সাধু : রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, মানিক। এছাড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও আছেন। মনে হয় আমি যা ভাবছি, তারাও তাই ভেবেছেন।
এবারের বইমেলায় আপনার কী কী বই থাকছে?
রূপক বিধৌত সাধু : ২০১৩ সালে ‘আশা’ ও ‘জলছবি’ নামে কবিতার বই বেরিয়েছিল। সেগুলো তো এখন বাজারে নেই। এবারের বইমেলায় ‘কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়’ শিরোনামে একটা গল্পের বই এসেছে।
বইমেলায় গিয়েছেন কি? পরিবেশ কেমন দেখলেন?
রূপক বিধৌত সাধু : দু’বার গিয়েছি। সামনে আরও কয়েকবার হয়তো যাওয়া হবে। পরিবেশ বলতে লোকজনের উপস্থিতি কমই দেখলাম। লোকজন এসে ঘুরে যাচ্ছে। বই বেচাকেনা কম দেখলাম।
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কী বলতে চান—
রূপক বিধৌত সাধু : পাঠকদের উদ্দেশে সারা মাসে অন্তত একবার হলেও বইমেলায় যান। বই পড়া ছাড়া তো জাতির মুক্তি নেই। পছন্দমতো একটা-দুটো বই কিনুন। পর্যালোচনা করুন।
কেমন আছেন? বর্তমানে কোন বইটি পড়ছেন?
রূপক বিধৌত সাধু : হ্যাঁ, ভালোই আছি। একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে আর কী? আর পড়ার কথা বলছেন তো? এ মুহূর্তে পড়ছি পল্লিকবি জসীম উদদীনের ‘বোবা কাহিনী’। ফরিদপুর অঞ্চলের লোকজীবনভিত্তিক দুই প্রজন্মের জীবন সংগ্রামের সফলতা ও বিফলতার কাহিনী নিয়ে চিরায়ত এই উপন্যাস।
আপনি লেখেন কেন?
রূপক বিধৌত সাধু : এ প্রশ্নের যথাযথ উত্তর এক কথায় দেওয়া কঠিন। একজন খেলোয়াড় যে জন্য খেলে, একজন গায়ক যে জন্য গায়, একজন অভিনেতা যে জন্য অভিনয় করে বলা যায় আমিও সেজন্য লেখালেখি করি। সংক্ষেপে বলব, আত্মসন্তুষ্টির জন্য লিখি। যেসব কথা মন খুলে বলতে পারি না, লিখে প্রকাশ করি।
কী ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন?
রূপক বিধৌত সাধু : কবিতা দিয়ে আমার লেখালেখি শুরু। পরবর্তীতে কথাসাহিত্যে আসা। বিষয়বস্তু হিসেবে আমি সামাজিক পটভূমিই বেশি আসে আমার লেখায়। ইদানীং বাঙালির মনস্তত্ব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বেশি করছি।
লেখালেখির ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোন লেখক আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
রূপক বিধৌত সাধু : অনেক আছে। বিদেশিদের মধ্যে আছেন রুশ সাহিত্যিক আলেক জান্ডার পুশকিন, ফিওদোর দস্তয়েভস্কি, ইংলিশ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারসহ আরও অনেকে। দেশিয়দের মধ্যে বিভূতি, তারাশঙ্কর, মানিক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও আছেন।
লেখার সময় পাঠকের কোনো চাহিদার দিক বিবেচনায় রাখেন কি?
রূপক বিধৌত সাধু : আগে নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগাটাকেই অগ্রাধিকার দিতাম। ইদানীং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টা মাথায় রাখি। লেখক তো সমাজের দর্পণের মতো। তাই না? পাঠক কোন পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যাপারটাও মাথায় রাখি।
একজন পাঠক আপনার লেখা পড়বেন কেন?
রূপক বিধৌত সাধু : সবাই তো সব লেখা পড়ে না। আমরা যেমন সব ধরনের গান শুনি না। আমার লেখাও যে সবাই পড়বেন, তাও না। তবে একশ্রেণির পাঠক আমার লেখা পড়বেন যারা জীবন-বাস্তবতা উপলব্ধি করতে চান। আমার লেখায় আরোপিত কিছু থাকে না। জীবনকে রুঢ়ভাবে উপলব্ধি করতে হলে আমার লেখা পড়তে হবে।
আপনার প্রিয় গল্পকার কারা? কেন প্রিয়!
রূপক বিধৌত সাধু : রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, মানিক। এছাড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও আছেন। মনে হয় আমি যা ভাবছি, তারাও তাই ভেবেছেন।
এবারের বইমেলায় আপনার কী কী বই থাকছে?
রূপক বিধৌত সাধু : ২০১৩ সালে ‘আশা’ ও ‘জলছবি’ নামে কবিতার বই বেরিয়েছিল। সেগুলো তো এখন বাজারে নেই। এবারের বইমেলায় ‘কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়’ শিরোনামে একটা গল্পের বই এসেছে।
বইমেলায় গিয়েছেন কি? পরিবেশ কেমন দেখলেন?
রূপক বিধৌত সাধু : দু’বার গিয়েছি। সামনে আরও কয়েকবার হয়তো যাওয়া হবে। পরিবেশ বলতে লোকজনের উপস্থিতি কমই দেখলাম। লোকজন এসে ঘুরে যাচ্ছে। বই বেচাকেনা কম দেখলাম।
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কী বলতে চান—
রূপক বিধৌত সাধু : পাঠকদের উদ্দেশে সারা মাসে অন্তত একবার হলেও বইমেলায় যান। বই পড়া ছাড়া তো জাতির মুক্তি নেই। পছন্দমতো একটা-দুটো বই কিনুন। পর্যালোচনা করুন।
0 Comments