উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী’র নির্ধারিত প্রশ্নে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কবি মাহফুজা অনন্যা। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘সোনালি অসুখ', 'কামার্ত নগরের কামিজ', ‘ত্রিভুজ ফুল শনিবার ফোটে’, ‘বুকে নাচে জোড়া ময়ূর’, ‘এবং নাভির কান্না’ ও ‘আশি দোররা চুম্বন’ উল্লেখযোগ্য । সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও সম্পাদক সাজেদুর আবেদীন শান্ত—
কেমন আছেন? বর্তমানে কোন বইটি পড়ছেন?
মাহফুজা অনন্যা : ভালো আছি৷ এই মুহুর্তে বারীন ঘোষালের কবিতা পড়ছি।
আপনি লেখেন কেনো?
মাহফুজা অনন্যা : বেঁচে থাকার জন্য লেখালেখি করি। লেখালেখি না করলে হয়তো বহু আগেই মাটিতে মিশে যেতাম।
কী ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন?
মাহফুজা অনন্যা : মানুষ, মানুষের মন, দেহ অর্থাৎ মনস্তত্ত্ব নিয়ে বৈজ্ঞানিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার সংমিশ্রণে কবিতা লিখতে ভালো লাগে।
লেখালেখির ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোন লেখক আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
মাহফুজা অনন্যা : কবিতার জন্য অবশ্যই ভারত বা কলকাতার কবি প্রভাত চৌধুরী, বারীন ঘোষাল, সব্যসাচী হাজরা। আর দেশের কবিদের মধ্যে ওবায়েদ আকাশ, আহমেদ শিপলু, অরবিন্দ চক্রবর্তী। গদ্য সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, জাকির তালুকদার, ওবায়েদ হক, আনিফ রুবেদ, কিযী তাহনিন।
লেখার সময় পাঠকের কোনো চাহিদার দিক বিবেচনায় রাখেন কি?
মাহফুজা অনন্যা : না, সেভাবে নয়। লেখা যখন মাথায় আসে লিখে যাই। তখন পাঠকভবনা একদম চিন্তায় থাকে না। কারণ এটা ব্যবসা নয় যে, ক্রেতা কিনবে কি কিনবে না, কত দাম পাবো এসব ভাবতে হবে?
একজন পাঠক আপনার লেখা পড়বেন কেন?
মাহফুজা অনন্যা : যিনি পাঠক তার কাজই পড়া। তবে পাঠকেরও চাহিদা থাকে। ভালো মন্দ বা মধ্যম। আমি যে ভাষা বা শব্দে কবিতা লিখি তা অবশ্যই উত্তরাধুনিক এবং দারুণ অর্থপূর্ণ। সমসাময়িক সকল বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি, সময়কে ধারণ করে লিখি। সময়কে বুঝতে হলে আমার লেখা পড়তে হবে৷ আজকের পাঠক অবশ্যই সময়ের গতিতেই চলবেন, অতএব আমার লেখা তাকে পড়তে হবে।
আপনার প্রিয় লেখক কারা? কেন প্রিয়!
মাহফুজা অনন্যা : একটু আগে যাদের নাম বলেছি তারা আমার প্রিয়। তাছাড়া নতুনরা অনেকেই অনেক প্রত্যয় নিয়ে লেখালেখি করছে তারাও আমার প্রিয়।
এবারের বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
মাহফুজা অনন্যা : এবারের বইমেলায় আমার একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে শব্দশিল্প প্রকাশনী থেকে। বইটির নাম; সীসার পালক। স্টল নম্বর ৩৪৬-৩৪৭-৩৪৮-৩৪৯। এটি আমার ৮ম বই এবং প্রথম গল্পগ্রন্থ। এছাড়া গত বইগুলোতো থাকছেই।
বইমেলায় গিয়েছেন কি? পরিবেশ কেমন দেখলেন?
মাহফুজা অনন্যা : শুক্রবার, শনিবার নিয়মিত যাই। বইমেলার পরিবেশ আগের মতো জমজমাট মনে হয়নি এবার। হতে পারে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মানুষের মানসিক পরিবর্তনের ফলস্বরূপ কিছুটা সীমাবদ্ধ।
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চান—
মাহফুজা অনন্যা : পাঠকদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলবো— বই কিনুন, বই পড়ুন। যেকোনো বই থেকে ভালো বা মন্দ অভিজ্ঞতা নিন, তাতে অবশ্যই মানসিক উন্নয়ন ঘটবে।
0 Comments