বছরের পর বছর ধরে তিনি একটা মিথ ছিলেন। তার কেবল একটা নাম ছিল। এই নাম দিয়েই প্রত্যেকে তাকে জানত। সবাই তাকে চিনতে পারত। সাধারণ মানুষ একেবারে সাধারণ জকাইচুকের একটা গ্রাম থেকে আরম্ভ করে রাজপ্রাসাদ, প্রজাদের ঘর, পুলিশ, গুপ্তচর দেশ-বিদেশ সব জায়গাতেই তিনি কেবল নামেই বিখ্যাত ছিলেন।
প্রত্যেকেই তাকে চিনত। কোথা থেকে তার কথাগুলি ছড়িয়ে পড়ত কেউ জানত না। কিন্তু প্রত্যেকেই তার উড়ে আসা খবরগুলি শুনেছিল, প্রচার হওয়া খবরগুলি জানত। তিনি দেশে ছিলেন কিনা সেটাও কেউ জানত না। জঙ্গল পাহাড় বা সীমান্তের কোন বিদেশে কোথায় থাকেন সেইসব কেউ জানত না। সত্য অসত্যের মধ্যে বহু কথা ভেসে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু তার নামটা, তিনি মানুষটা সর্বত্র বিরাজ করছিলেন।
তার বাড়িতে একটা বাহিনী ছিল। হাজার হাজার যুবক যুবতীর তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার কথা প্রত্যেকেই জীবন মরণ পণ করে শুনেছিল। কোথাও গোলাগুলি, কোথাও বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি মাঝেমধ্যে চলছিল। সঙ্গে সঙ্গে অহরহ অন্য বহু ঘটনা ঘটছিল। কাউকে ধরে নিয়ে এসেছিল, কাউকে ছেড়ে দিয়েছিল। কাউকে গ্রেফতার করে এনেছিল। কেউ আবার নিজের গোলা-বারুদ বন্দুক ইত্যাদি নিয়ে কোনো ক্যাম্পে ফোটো উঠেছিল।
এই সমস্ত কিছুই চলছিল তার নামে। কিন্তু তিনি রহস্যময় হয়েছিলেন প্রথম থেকেই। তিনি সত্যিই আছেন কি? প্রত্যেকেই জানা নাম কি? প্রত্যেকেই জানা নামটি তারই কি? নাকি তিনি একটি অদৃশ্য নাম, যে নামের সামনে কেবল রাশি রাশি সেনানী। তিনি মুক্তির জন্য পরিকল্পনা করেন, স্বপ্ন রচনা করেন এবং অন্যেরা তার এই আদেশ এবং স্বপ্ন রূপায়ণের জন্য উঠেপড়ে লাগে, জীবন বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। অতি আগ্রহ এবং আশায় দেশের মানুষেরাও মনে মনে সেই স্বপ্নগুলিই দেখে। তার আশার আদেশ এবং হুকুম শোনার জন্য যেন অপেক্ষা করে থাকে।
কিন্তু তিনি কোথায় থাকেন কেউ জানে না। কেউ বুঝতেই পারেনা তিনি কোথায়? অনেক কথা বাতাসে ভাসতে থাকে— কখনও পূর্ব সমান্তের গভীর অরণ্যে, কখনও বা উত্তরের ধবল বরফের মধ্যে, কখনও রাশি রাশি শাল গাছের অরণ্যে বা কখনও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। কিন্তু তিনি যেখানেই থাকুন না কেন তার দ্বারাই চালিত হয় এক বিশাল সেনানী। তার আদেশেরই ফল ভোগে জনগণ। কাউকে জঙ্গলে নিয়ে যায়, তার আদেশের জন্য অপেক্ষা করে, অদৃষ্টে কি হতে পারে!
এক একটি সাবধান বাণী দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মুক্তির স্বপ্নে তারা বিভোর ছিল। ভেতরে ভেতরে বিভোর করেছিল প্রত্যেককে। তিনি এই স্বপ্নের নায়ক ছিলেন, স্বপ্নের অদৃশ্য পরিচালক ছিলেন।
এই স্বপ্নের প্রভাব থেকে কেউ মুক্ত ছিলেন না। বঞ্চনার ইতিহাস ছিল সুগভীর। গভীরতম অটব্য, অরণ্যের অন্ধকার। দৃশ্যমান পার্থক্যের বর্তমান গুলিও ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট। ক্রমে কীভাবে কে, কারা দেশটাকে কীভাবে ভোগ করছে প্রত্যেকেই যেন বুঝতে পারছিল। কারা কারা বঞ্চনার বলি, প্রাপ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত, সবকিছুই প্রত্যেকে জানতে পেরেছিল। মুক্তি এবং যুক্তি যেন হয় পড়েছিল দুঃস্বপ্ন। যতগুলি উপায় ছিল প্রতিটি যেন বিকল হয়েছিল। এসবের কেউ যেন কোনো কিছুই করতে না পারা হয়ে পড়েছিল, কোনো পথ খুঁজে না পাওয়ার অবস্থা হয়েছিল।
এই জঙ্গল থেকে উড়ে আসা আশার স্বপ্নের বাতাসের প্রভাব ভেতরে বা বাইরে প্রত্যেকের গায়ে লেগেছিল। কয়েকজন এই প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, অন্য কয়েকজন মাত্র মনের মধ্যে এটাকে অনুভব করতে পেরেছিল। করতে না পারা কাজগুলি অন্তত এরা করতে চাইছে, দেখতে ছেড়ে দেওয়ার স্বপ্নগুলি ওরা অন্তত দেখাতে পারছে। দুর্গম অটব্য অরণ্য বা দেশান্তরের কোনো অদৃশ্য স্থান থেকে হলেও চারপাশটা আশায় রাঙিয়ে তুলতে পারছে, আশা ছড়িয়ে দিতে পারছে।
অদৃশ্য নায়কটির প্রেমে পড়ে প্রত্যেকেই। তার ভেসে আসা অন্য অনেক নাম আছে। কিন্তু প্রতিটি নামই যেন অর্থবহ, প্রতিটি নামই যেন নায়কোচিত। প্রতিটি নামের ব্যাখ্যা প্রত্যেকে নিজের মতো করে করে। নিজের নিজের মতো করে ভালোবাসে, প্রেমে পড়ে।
অনেক ঘটনা ছড়িয়ে যায়। অনেক খবর উড়ো খবরে চারপাশ ভরে পড়ে। কোথা থেকে জানি খবরগুলি আসে। কখনও আবার অনেকদিন পর্যন্ত কোনো খবরই আসে না। সবকিছুই যেন নীরব নিস্তব্ধ। কখনও হঠাৎ ভেসে আসে অটব্য অরণ্যের মাঝখান থেকে বিহু নামের সুর। মায়ের কাছে যেতে না পারা সুর। কখনও আবার সামূহিক মৃত্যুদণ্ড।
তবুও কেউ তাকে অপছন্দ করতে চাইছিল না। ভালোবাসার কারণগুলি প্রত্যেকেই নিজের মতো করে ঠিক করে রাখে। এরমধ্যে বেড়ে যায় পুলিশ-মিলিটারি-গুপ্তচরের অত্যাচার। ছোটোছোটো কোমল মুখের থুতনিতে দু’একটি মাত্র গজিয়ে উঠা দাড়ি, কচি শশার মতো কিছু যুবককে পুলিশ ভ্যানের মেঝেতে শুইয়ে এনে জেলায় জেলায় মর্গগুলি ভৰ্তি করে ফেলে। একদল মর্গে আসে, একদল হাতে বন্দুক নিয়ে ফোটো উঠে আর একদল পুনরায় জঙ্গলে যায়, এই যাত্রা অহরহ চলতে থাকে। মুক্তির অনন্ত যাত্রা।
জীবন এই পুরো সময়টুকুকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়েছে। বড়ো দুর্বল সে। মুক্তির বাসনা তারও কম ছিল না। সংগের অনেকেই জঙ্গলে গেল। কয়েকজনের গুলিতে মৃত্যু হল। কিন্তু কী কী হয়েছে বা হয়নি, হল বা হল না সেই সমস্ত কিছু জীবন ভালোভাবে জানে। সে নিজে থেকে গেল। গোপনে সে কিছুই করতে পারে না। কিছু করার সাহস আজ পর্যন্ত সে জোগাড় করতে পারল না। সে বড়ো দুর্বল। কিন্তু সে ভেতর বাইরের সমস্ত খবর ভালোভাবে জানে। ভালোভাবে পেয়ে থাকে।
সে অতি বিশ্বস্ত। আজ পর্যন্ত কেউ তার মুখ খুলতে পারেনি। পুলিশ আর্মি কয়েকবার তাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা ছোটো একটি টুলে বসিয়ে রেখেছে। কিন্তু কেউ তার কাছ থেকে সামান্য কোনো খবরও বের করতে পারেনি।
জীবন সমস্ত কিছুই ভালোভাবে বুঝতে পারে। এই যে সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা নামটা, সত্যিই আছে কি নেই বলে সন্দেহের আবর্তে থাকা মানুষটা, তার বিষয়েও জীবন ভালোভাবে জানে। যাকে আজ পর্যন্ত কেউ দেখতে পায়নি, তাকে সে জানে। এখন পুঞ্জিভূত আশা, কল্পনা, মুক্তির বিশাল পাহাড়টা জীবন ভালোভাবেই চেনে।
সেজন্যই খবরটা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন বড়ো হতাশ হল। অবিশ্বাস্য। ভেতর থেকে সে ভেঙ্গে পড়ল। খবরটা সত্যি কি? সত্যিই আসবেন কি তিনি, একটা কাগজে একটা মোহর মারার জন্য? এই মিথের কোনো উত্তর ছাড়াই মন্তব্য কি? সত্যিই সবকিছুর এখানেই স্বপ্নভঙ্গ? সত্যিই কোনো সীমান্তে, অটব্য অরণ্যে বা বরফের প্রান্তে সমর্পণ করবে কি? নামটি কি? অভাবনীয়, অসহনীয়!
জীবন হতাশ হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে অনেকেই এখানে সেখানে ধরা দিয়েছে যদিও সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, একইভাবে। প্রত্যেকেই বিশ্বাস করেছিল তিনি কোনোদিনই আসবেন না কিন্তু হঠাৎ উড়ে আসা খবরগুলি!
শুধু কি একটা মানুষের সমর্পণ? অনেক কষ্টে জীবন ভাবতে চাইলে এই স্বপ্নের সমর্পণ। অনেক বিপ্লবী জীবন কাহিনি জীবন পড়েছে। কীভাবে অসহায় বিপ্লবী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের আদর্শে টিকে থাকে। কীভাবে অন্তিম ক্ষণে নিজেকে উৎসর্গ করে। রাজপুত রমণীর কথাও সে পড়েছে কীভাবে শত্রুর হাতে সম্ভাব্য ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজেকে আগুনে আহুতি দিয়েছে।
কিন্তু হ্যাঁ জীবন ঠিকই শুনেছে। উড়ো খবরগুলি সত্য হতে চলেছে। ভেতরে ভেতরে দিন তারিখ জায়গা সমস্ত ঠিক হয়ে গেছে। গোপনে প্রতিবেদনের প্রতিটি ক্ষণ গণনা এখন পুলিশ মিলিটারি গুপ্তচরদের হাতে হাতে।অনেক বিবৃতি অনেক খবর অনেক কথাবার্তার মধ্যে এখনো যেন সংশয়— আসবে কি আসবে না। কে আসবে এরকম নামের কোনো মানুষ আছে কি? সত্যিই এরকম একজন মানুষ ছিল কি? যদি ছিল, কেন আসবেন তিনি, কোথায় আসবেন!
কিন্তু জীবন জানল তিনি আসবেন। দিন বার সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে গেছে। আগের দিন সীমান্তে, পরের দিন রাজধানীতে তাকে আনা হবে এবং সেই একদিনেই সন্ধ্যেবেলা সাধারণ জনতার ভিড় না থাকার সময়ে নিয়মমাফিক আদালতে হাকিমের সামনে তাকে হাজির করা হবে।
কথাগুলি আর গোপন থাকল না। নির্দিষ্ট দিনটির খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল। সকাল থেকেই আদালতের সামনে শতশত পুলিশ সিআরপির নিয়োগ। বড়ো বড়ো বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, দুর্ভেদ্য ব্যারিকেড। কিন্তু সকালবেলা থেকেই অজস্র মানুষ! সত্যিই তিনি আসবেন কি? সত্যিই আসবেন? সেই মানুষটি!
জীবন সময়টা জানে। তথাপি সে অনেক আগে থেকে আদালতের সামনে গিয়ে উপস্থিত হল। ভিড়ে উপচে পড়া জনগণের সঙ্গে সেও মিশে রইল। আদালতে আসার কয়েকটি পথ। সবগুলোতেই মানুষ আর পুলিশের ভিড়। কোন দিকে গাড়িগুলি আসবে, আদালতের চৌহদে কোন দিক থেকে ঢুকে যাবে সে রকম অনুমান করে কাছ থেকে তাকে দেখার জন্য একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে রইল।
কী গাড়িতে আসবে? কে জনে! পুলিশের গাড়িতে। যেকোনো হতে পারে এই পুলিশের গাড়ি। তার হাতে হ্যান্ডকাফ থাকবে নাকি? তার দুটো হাত বাঁধা থাকবে নাকি! জল্পনা কল্পনার মৃদু গুঞ্জন চলতে থাকল।
সন্ধ্যাবেলা পার হল। মানুষের ভিড় কমল না। না এখনো তো কোনো গাড়ি আসেনি। সন্ধ্যা থেকে রাত হওয়া পর্যন্ত সমগ্র পরিবেশটা স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। চারপাশে ভেতরে ভেতরে এক অন্তর ভরা কারুণ্য। স্বপ্ন ভাঙ্গার সময় যে সমাগত। একটা গাড়িতে করে তাকে নিয়ে আসার সময়। আজ কোনো শব্দ নেই। অনন্ত ম্রিয়মান। চারপাশ বাকহীন।
মনের একজন নায়কের যেন অনুন্নত শির। কেউ বহন করে নিতে না পারা ভারী থেকে ভারী বোঝা।
প্রত্যেকেই নির্বাক।
নিস্তব্ধতাকে ভেট করে চারপাশের যেকোনো কারুণ্যকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে যেন হঠাৎ অহরহ বেজে উঠল শতশত হুইসেল। পুলিশের সমবেত হুইসেলের কর্কশ ধ্বনি মানুষগুলির বুকভেদ করে গেল।
মন্থর গতিতে একটা বাস এসে দাঁড়াল। সাধারণ সিটি বাসের মতো বাস।
তৎপর আরক্ষী বাহিনী।
প্রত্যেকেই নীরব। সমবেত জনগণ নিস্তব্ধ। হুইসেলের শব্দও নিস্তব্ধ। ক্রমে নিস্তব্ধ যন্ত্রবৎ আরক্ষী। সমগ্র দেশটা যেন নিস্তব্ধ। এমনকি বাসের সামনের সিটে বসে থাকা, এতদিন কেউ না দেখা, কেবল সামনে উপলদ্ধ দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়ে থাকা তিনিও নিস্তব্ধ।
গহীন গম্ভীর হয়ত ম্রিয়মাণ।
প্রথমে গাড়ির ভেতরে থাকা পুলিশরা নিস্তব্ধ হয়ে নামল। তারপরে অন্য দুজন। তারপরে এতক্ষন অপলক নেত্রে বসে থাকা তিনি গুরুগম্ভীর পদক্ষেপে নামলেন।
পৃথিবীর ভূমিতে পা রাখলেন। বাসটা থেকে নেমে কোথাও নির্দিষ্ট দৃষ্টি নিক্ষেপ না করে তিনি মানুষটা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। চারপাশের হাজার হাজার মানুষ নিস্তব্ধ। শুধু এই জায়গার চারপাশের শতশত হাজার হাজার মানুষ? আজ যেন সমগ্র দেশ নীরব, নিস্তব্ধ। নীরব গ্রাম শহর নদ-নদী পাহাড় সমতল অটব্য অরণ্য বা চারপাশের সীমান্ত। সমস্ত কিছু নীরব।
ঠিক তিনি আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা রেখেছেন কি না রেখেছেন, কোথা থেকে ভিড়ের মধ্যে থেকে যেন একটা তীক্ষ্ণ এবং তীব্র চিৎকার সমগ্র পৃথিবীর নীরবতা ভঙ্গ করে ফেলল পৃথিবী কেপে উঠা বেদনা কাতর একটি চিৎকার। চিৎকারটা দেশটাকে ভেদ করে গেল।
সারেন্ডার করবেন না দাদা…!
দেশের সমস্ত নদীগুলি দিয়ে অনেক জল বয়ে গেল।
জীবন ক্রমশ দুর্বল থেকে দুর্বলতর।
দুর্বল নীরব ম্রিয়মান জীবন আজও খুঁজে চলেছে সেই চিৎকার— বুকভেদ করে যাওয়া চিৎকার। কে করেছিল সেই চিৎকার।
লেখক পরিচিতি : ১৯৫৬ সনে অসমের নগাঁও জেলার শেতেলীতে গল্পকার শিবানন্দ কাকতির জন্ম হয়। প্রথমদকে একাঙ্ক এবং নাটক রচনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৯৩ সনে তা৬র ‘দুঃসময়’ শীর্ষক নাটকটি সর্বভারতীয় পুরস্কার লাভ করে। ১৯৯৫ সনে ‘আমৃত্যু-অমৃত’ গল্প সংকলনের জন্য মুনীন বরকটকী পুরস্কার লাভ করেন। বাকি গল্প সংকলনগুলি যথাক্রমে, ‘গাগিনী তোর পানী কিমান’, ‘বরদৈচিলা’, ‘বরণীয়া আলিবট’, ‘আলিবাটত’ ইত্যাদি।
0 Comments