হংকঙে বাড়িঘরগুলো উড়ে উড়ে বেড়ায়
রাতের বেলা
হংকঙে বাড়িঘরগুলো উড়ে উড়ে বেড়ায়
আর সেতু
আর ক্যাফে
আর মেট্রো স্টেশন
উড়ে উড়ে বেড়ায়
আর হংকঙে কারো কোন নাম নেই
তাই কেউ যখন কাউকে খোঁজে
নাম ছাড়াই খোঁজে
আমি ভেবে দেখেছি
নামের আসলে তেমন কাজ নেই
ভাবো
একটা নামের ভিতর আমরা কী পাই
কতোটা পাই
যে প্রশ্নের উত্তর শিক্ষক জানেন না
আমার একটা গ্রাম আছে
গ্রামের স্কুলে
ছোটছোট ছেলেমেয়েদের আমি পড়াই
আচ্ছা আমার গ্রামতো আমার দেশেরই অংশ
আর আমি অংশ আমার গ্রামের
মানে এমনটাইতো ওদের আমি পড়াই
আর আঁকা শেখাই
ছেলেমেয়েরা জিগ্যেস করে
আমাদের এই দেশটা কীসের অংশ
বলুন তো কী উত্তর দিই :
জাতিসংঘের
বিশ্বব্যাংকের
না কি হোয়াইট হাউসের
সুখ-দুঃখের গল্প
সারাক্ষণ আমরা নিজেদের দুঃখ নিয়ে থাকি
সারাক্ষণ
আমরা ভাবি অন্যরা কত সুখী
কেন আমরা আকাশের কাছে বসে থাকি
আকাশের কত কত তারা
ওদের ক'জনকে আমরা চিনি ক'জনের ঠোঁটে অঘ্রাণের ঘ্রাণ
পাওয়া যায়
অথবা আমরা কি জানি কার হাটুর ব্যথা
কার বুকের কাঁটার কাছে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে
যখন আমাদের আর কোথাও কিছু থাকে না
না ট্রেন
না পিঁপড়ের সারি
তখন আমরা সমুদ্রের কাছে যাই
যদি পাই
একটু শান্তি একটু স্বস্তি
সমুদ্র কি বিশাল
আর তার বিপুল জলরাশিই পারে আমাদের দুঃখ ধুয়ে দিতে
কিন্তু এই বিশাল সমুদ্রে
কে ঢেলে দিয়েছে নুন
না কি এ অশ্রু
কার অশ্রু
কার দুঃখ বুকে নিয়ে সমুদ্র বেঁচে আছে আর বয়ে চলেছে
আজও
ফিলিস্তিনে ইবলিস
১
এ এমন এক দেশ
যা অদৃশ্য
ঘুমোতে যাও
আগামী রাত হয়তো আলাদা হবে
পাতাদের এই খসখসে রাস্তা
নির্জন সাপ
তোমার নিশ্বাস অনুকরণ করছে
২
শোনাও তোমার সন্তানদের
রুপকথা
অদূরে উপসাগরের শান্ত নকশা
জোরে হাঁট
জোরে হাঁট
আমাদের দিকেই চেয়ে রয়েছে
মৃতরা
0 Comments