মফস্বল শহর, শীত এবার খুব পড়েছে। গভীর রাতে টিনের চালার উপরে কুয়াশা পড়ার শব্দ হয়। কুসুমকুমারীর বাড়ির সামনের রাস্তাটা ভরে গেছে ঝরা পাতায়। তার বয়স ৬০ বছর একদিন। গতকাল ছিল তার জন্মদিন।
এই ছোট শহরের সব লোক এসেছিল তার জন্মদিনে। আসবে না কেন, সেতো অনেক বড় লেখক। তার লেখায় এতটা আবেগ যে, কেউ পড়লে কেঁদে ফেলে।
কাল রাতের জন্মদিনের পার্টিতে তার পালকপুত্র অনি ঘোষনা করেছে, ‘আগামীকাল তার মা বিয়ে করবে’। সমস্ত প্রিয় পাঠক নিস্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। এরইমধ্যে ফিসফিস শব্দ হতে থাকে, যা রাতের নীরবতাকে ভেঙে দিচ্ছিল বারবার। সাংবাদিকরা কৌতুহলবশত প্রশ্ন করে, 'হে কুসুমকুমারী প্রেম কবে থেকে শুরু হলো আপনার, কই শহরের মাঠে, ঘাটে কোনদিনতো কোন বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে আপনাকে দেখা যায়নি’।
খুব ধীর স্থির ভাবে এই বয়সেও অপরূপ সুন্দরী কুসুমকুমারী শুরু করলেন তার প্রেমের কাহিনী , 'সেই দিনগুলোতে খুব বেশি একা লাগতো, চল্লিশ বছর বয়সে যখন আমার স্বামী মারা যায়। বসন্ত আসত সবাই হলুদ রংয়ের শাড়ি পড়তো আর আমি সাদা একটা শাড়ি পড়ে যেতাম। সেই বসন্তে উৎসব থেকে এই বিশ বছর আমি একা। কোন এক কবিতার উৎসবে, আমার সঙ্গে পরিচয় হয় হাসানের। সে বিবাহিত, কলেজের শিক্ষক। সে তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসে, ভালোবাসে তার একমাত্র সন্তানকে। কিন্তু ভালোবাসা কি একটা জায়গায় থেমে থাকবে তা কিন্তু নয়’।
সাংবাদিকরা স্বকৌতুক নিয়ে জিজ্ঞেস করে, এরপর কি?
-এরপর বন্ধুত্ব হয়।
-শুধু বন্ধুত্ব!
-শুধুই বন্ধুত্ব। প্রথম দর্শনে আমরা দু’জন দু’জনাকে ভালোবেসে ছিলাম। সে খুব হ্যান্ডসাম নয়। তবে হাসিতে যেন মুক্তা ঝরে। সে একটু ম্যারে ম্যারে, আমিও ঠিক তাই। ঘুমোতে যাওয়ার আগে সে প্রতিদিন মনে করতো আমার কথা। আমিও তার কথা মনে করতাম। যত রাজ্যের আলোচনা আমাদের মধ্যে চলত। ঝগড়াও খুব। তবে আমরা কখনো আমাদের পরিবারকে এক বিন্দু কম ভালোবাসিনি। হাসান তার স্ত্রীকে খুব সম্মান করতো। প্রায় পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রী মারা গিয়েছে। কিন্তু আমরা বিয়ের কথা ভাবিনি। এখন নিশ্চয়ই আপনারা প্রশ্ন করবেন এ বয়সে কেন?
-খুব একা, একা লাগে। ঝগড়া করারও একটা মানুষ নেই। সেই মোবাইলে আর কতক্ষণ ঝগড়া। এবার থেকে আমরা মুখোমুখি ঝগড়া করব আর এই ঝগড়া করার জন্যই বিয়েটা করা।
পরের দিন কুসুমকুমারী আর হাসানের বিয়ে হল। বিয়ে শেষে যখন তারা ঘরে যাচ্ছে তখন এলোমেলো চুলের এক পাঠক কুসুমকুমারীকে জিজ্ঞেস করলো 'আপনার কি মনে হয় না! আপনি এত বছর ধরে পরকীয়া করেছেন?
-না। এ ছিল আমার আর হাসানের বুকের শব্দ, বন্ধুত্ব, এক অপরিসীম মায়া।
-না, আমি যদি বলি এ এক প্রচ্ছন্ন পরকীয়া!
বিয়ের আসরে সকলের মুখে মৃদুমন্দ হাসি। খুশির জোয়ার যেন আজ বাঁধ মানছে না। কুসুমকুমারী মৃদু হেসে বলল 'সমস্ত মায়ার জাল যেন এক প্রচ্ছন্ন পরকীয়ায় আসক্ত।
এই ছোট শহরের সব লোক এসেছিল তার জন্মদিনে। আসবে না কেন, সেতো অনেক বড় লেখক। তার লেখায় এতটা আবেগ যে, কেউ পড়লে কেঁদে ফেলে।
কাল রাতের জন্মদিনের পার্টিতে তার পালকপুত্র অনি ঘোষনা করেছে, ‘আগামীকাল তার মা বিয়ে করবে’। সমস্ত প্রিয় পাঠক নিস্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। এরইমধ্যে ফিসফিস শব্দ হতে থাকে, যা রাতের নীরবতাকে ভেঙে দিচ্ছিল বারবার। সাংবাদিকরা কৌতুহলবশত প্রশ্ন করে, 'হে কুসুমকুমারী প্রেম কবে থেকে শুরু হলো আপনার, কই শহরের মাঠে, ঘাটে কোনদিনতো কোন বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে আপনাকে দেখা যায়নি’।
খুব ধীর স্থির ভাবে এই বয়সেও অপরূপ সুন্দরী কুসুমকুমারী শুরু করলেন তার প্রেমের কাহিনী , 'সেই দিনগুলোতে খুব বেশি একা লাগতো, চল্লিশ বছর বয়সে যখন আমার স্বামী মারা যায়। বসন্ত আসত সবাই হলুদ রংয়ের শাড়ি পড়তো আর আমি সাদা একটা শাড়ি পড়ে যেতাম। সেই বসন্তে উৎসব থেকে এই বিশ বছর আমি একা। কোন এক কবিতার উৎসবে, আমার সঙ্গে পরিচয় হয় হাসানের। সে বিবাহিত, কলেজের শিক্ষক। সে তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসে, ভালোবাসে তার একমাত্র সন্তানকে। কিন্তু ভালোবাসা কি একটা জায়গায় থেমে থাকবে তা কিন্তু নয়’।
সাংবাদিকরা স্বকৌতুক নিয়ে জিজ্ঞেস করে, এরপর কি?
-এরপর বন্ধুত্ব হয়।
-শুধু বন্ধুত্ব!
-শুধুই বন্ধুত্ব। প্রথম দর্শনে আমরা দু’জন দু’জনাকে ভালোবেসে ছিলাম। সে খুব হ্যান্ডসাম নয়। তবে হাসিতে যেন মুক্তা ঝরে। সে একটু ম্যারে ম্যারে, আমিও ঠিক তাই। ঘুমোতে যাওয়ার আগে সে প্রতিদিন মনে করতো আমার কথা। আমিও তার কথা মনে করতাম। যত রাজ্যের আলোচনা আমাদের মধ্যে চলত। ঝগড়াও খুব। তবে আমরা কখনো আমাদের পরিবারকে এক বিন্দু কম ভালোবাসিনি। হাসান তার স্ত্রীকে খুব সম্মান করতো। প্রায় পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রী মারা গিয়েছে। কিন্তু আমরা বিয়ের কথা ভাবিনি। এখন নিশ্চয়ই আপনারা প্রশ্ন করবেন এ বয়সে কেন?
-খুব একা, একা লাগে। ঝগড়া করারও একটা মানুষ নেই। সেই মোবাইলে আর কতক্ষণ ঝগড়া। এবার থেকে আমরা মুখোমুখি ঝগড়া করব আর এই ঝগড়া করার জন্যই বিয়েটা করা।
পরের দিন কুসুমকুমারী আর হাসানের বিয়ে হল। বিয়ে শেষে যখন তারা ঘরে যাচ্ছে তখন এলোমেলো চুলের এক পাঠক কুসুমকুমারীকে জিজ্ঞেস করলো 'আপনার কি মনে হয় না! আপনি এত বছর ধরে পরকীয়া করেছেন?
-না। এ ছিল আমার আর হাসানের বুকের শব্দ, বন্ধুত্ব, এক অপরিসীম মায়া।
-না, আমি যদি বলি এ এক প্রচ্ছন্ন পরকীয়া!
বিয়ের আসরে সকলের মুখে মৃদুমন্দ হাসি। খুশির জোয়ার যেন আজ বাঁধ মানছে না। কুসুমকুমারী মৃদু হেসে বলল 'সমস্ত মায়ার জাল যেন এক প্রচ্ছন্ন পরকীয়ায় আসক্ত।
0 Comments