এক
বিপ্লব এক দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা সুদর্শন ছেলে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে সে। ঢাকায় একটি মেসে থাকে। টিউশনি করে তার খরচ চালায়। বিপ্লবের কোন ভাই-বোন নেই। এক মা থাকে গ্রামে। মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। আর একজন মনের মানুষ আছে। তার নাম অপলা।
বিপ্লব দেখতে স্বাস্থবান, উজ্জ্বল ফর্সা। সুঠম বাহু, চোকা নাক, বিপ্লবের মাথার চুল কান পর্যন্ত বড়, চুল ভিষন পাতলা। স্লিকি যাকে বলে। চুল গুলো সব সময় সামনের দিকে ঝুকে থাকে এবং চুল এত নরম যে হাতের আঙুল খুব সহজেই চুলের মাঝে প্রবেশ করানো যায়। বিপ্লবের প্রেমে কেউ না পড়লেও ওর চুলের প্রেমে পড়া যায় খুব অনায়াসে।
বিপ্লব বেশির ভাগ সময় জিন্স প্যান্টের সাথে পলো শার্ট বা টি-শার্ট পরিধান করে। পায়ে পড়ে স্লিপার জুতা।
সে টিউশনি করে যা পায় তাতে মেসের খরচ, বাড়িতে মা'র জন্য টাকা পাঠানো, নিজের হাত খরচ করেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়, অতিরিক্ত কোন টাকা থাকে না বরং ধার-দেনা করে চলতে হয়। কোথাও চাকরীর ইন্টারভিউ বা কোন দাওয়াত থাকলে বন্ধুদের কাছ থেকে শার্ট-প্যান্ট, জুত ধার করে পড়ে যেতে হয়। অভাব কি জিনিস তা বিপ্লবের চেয়ে ভাল কেউ জানে না। কত রাত যে কেটেছে শুধু বিড়ি খেয়ে তার কোন হিসেব নেই। একবার চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বাসে চড়ার সময় বাসের দরজায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ছোট লোহার দন্ডে বেধে শার্টের হাতা ছিড়ে যায়। হায় কপাল! শার্ট ছেড়ার আর সময় পেল নাহ! ইন্টারভিউতে প্রথম প্রশ্ন-ই ছিল, একটি ছেড়া শার্ট পড়েই ইন্টারভিউ দিতে চলে এসেছেন?
-সরি স্যার, আসার পথে ছিড়ে গেছে।
পরে চাকরিটি হয়নি। শার্ট ছিড়ে যাবার জন্য নয়। ইন্টারভিউ ভাল হয়নি। মনে অস্বস্থি হচ্ছিল তার। কোন প্রশ্নের উত্তর ঠিক মত দিতে পারেনি বিপ্লব।
এর চেয়ে খারাপ অবস্থা হল মেসে আসার পর। যে বন্ধুর শার্ট পড়ে সে ইন্টারভিউতে গিয়েছিল সেই বন্ধুর সাথে ছেড়া শার্ট নিয়ে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়ে গেল, এক পর্যায়ে হাতা-হাতি পর্যন্ত গেল। বন্ধুর সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেল। এই শার্টের কাফফারা হিসেবে তাকে সেম টু সেম একটি শার্ট বহু কষ্টে খুঁজে বের করে বন্ধুকে দিতে হয়েছিল। এরপর থেকে বিপ্লব অন্যর জিনিস নিতে সংকচবোধ করে। খুব বিপদে না পরলে কারো কাছ থেকে কিছু নেয় না সে।
দুই
একটি আপেল ফল যেমন পরিপক্ক হয়ে গেলে লাল আভা ছড়ায়, সূর্যের আলো পরলে ঝলমল করে তেমনি ঝলমলে লাল আভা ছড়ানো অপলার মুখ। মুখে ছড়িয়ে যাওয়া শত রক্তিম সুক্ষ শিরা গুলো অনায়সেই খালি চোখে দেখা যায়। ছোট নাক। কালো ঘন চুল। বাতাসে দোল খায়। বুক বেশ উচু। উচ্চতায় ৫ ফিট ২ ইঞ্চি। সাধারণ মেয়েদের মত তার পোশাক-আশাক। কিন্তু ধনাঢ্য ঘরের মেয়ে সে। থাকে ধানমন্ডিতে। টাকা পয়সার অভাব তাকে কখনো স্পর্শ করেনি। অর্থ কষ্ট কি জিনিস অপলা তা কখনো উপলব্ধি করেনি।
অপলা বিপ্লবকে পছন্দ করে। যদিও বিপ্লবের অর্থবিত্ত নেই। এতে অপলার কিছুই যায় আসে না। বিপ্লবকে পেলে তার সব অভাব ঘুচিয়ে দেবে সে। এটা তার কাছে তুচ্ছ ঘটনা মাত্র।
অপলা ও বিপ্লবের প্রথম দেখা হয়েছিল আজিজ সুপার মার্কেটে। একটি টি-শার্ট এর দোকানে। তারা দুজনেই একি সাথে একটি টি-শার্ট পছন্দ করে। কে নেবে তাই নিয়ে দুজনের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। বিপ্লব পরে টি-শার্টি ছেড়ে দেয়। অপলা টি-শার্টি তার ভাইয়ের জন্য নিয়েছিল।
সেখান থেকে তাদের পরিচয়। এরপর আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে।
তিন
বিপ্লব “চঁন্দবিন্দু রেষ্টুরেন্ট”এ বসে আছে। যদিও এই রেষ্টুরেন্টে তাকে মানায় না। কারণ বিপ্লব স্বচ্ছ পরিবাররে ছেলে নয়। নিজেও বেকার। টিউশনি করে চলে তার। তবুও বিপ্লব এই রেষ্টুরেন্টে আসে অপলার কারণে। অপলার এই রেষ্টুরেন্ট খুব প্রিয়। ও সব সময় এখানে আসে। বিপ্লব অপলার জন্য অপেক্ষা করছে অনেকক্ষন ধরে। এরি মাঝে ওয়েটার বয় খাবারের অর্ডার নেয়ার জন্য এসেছিল। বিপ্লব ফিরিয়ে দিয়েছে। যদিও বিপ্লবের শীত শীত লাগছে। এক কাপ কফি খেতে পারলে ভাল হত। কিন্তু খেতে পারছে না। অপলা আসলে খাবে।
বিপ্লব রেষ্টুরেন্টের সব কিছু চোখ বুলিয়ে দেখছে। এর আগেও কয়েকবার এসেছে এখানে, তারপরও বিপ্লবের দেখতে ভাল লাগছে । বিভিন্ন রং-বেরংয়ের বাতি জ্বলছে। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। পাশে বাঁচ্চাদের খেলার জন্য ছোট একটা জায়গা আছে। একটি বাঁচ্চা সেখানে খেলছে। স্লিপারে স্লিপকেটে পড়ছে, আবার উঠছে। বিভিন্ন রংয়ের প্লাষ্টিকের বল নিয়ে ছুড়ে মারছে।
পাশের টেবিলে এক লোক কফি খাচ্ছে। কফি থেকে গরম ধোঁয়া উড়েছে। অপলা প্রায়ই আসতে দেরি করে। এতে অবশ্য বিপ্লব রাগ করে না বরং খুশি হয়। কারণ যতক্ষন অপলা আসবে না ততক্ষন অপলাকে নিয়ে ভাবা যায়। অপলার চোখ নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। চোখ নয় যেন অন্য এক ভূবন। চোখের ভিতরে বিশাল বিশ্বভোম্মান্ড গেলাক্সি দেখা যায়। সেই গেলাক্সিতে শুধু বিপ্লবে চেহারা দেখা যায়। অপলার চেহারার দিকে তাকালে পুর-পৃথীবিটাকে অনুভব করা যায়। অপলার মুখের সূক্ষ রক্তিম রেখা গুলো যেন পৃথীবির শেকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিপ্লব অপলাকে এই পৃথীবির থেকে বেশি ভালোবাসে। বিশ্বভোম্মান্ডে যত গ্রহ নক্ষত্র আছে তার চেয়েও বেশি।
অপলা একটি শপিং ব্যাগ নিয়ে বিপ্লবের পাশে এসে বসে। শপিং ব্যাগ থেকে একটি কানটুপি বের করে বিপ্লবকে পড়িয়ে দেয়। বিপ্লব অবাক হয়ে যায়। যে উষ্ঞতার অভাব সে অনুভব করছিল তা শতভাগ পূরণ হয়ে গেছে।
এটা কিনে নিয়ে আসতে একটু দেরি হয়ে গেল। কিছু মনে কর না। (কান-টুপি পড়িয়ে দিতে দিতে অপলা বলল)
-না না। ঠিক আছে। আমি খুব খুশি হয়েছি। এবার ১৪-ই ফেব্রুয়ারিতে তোমাকে একটা উপহার দিব।
-কি উপহার দিবা?
-উহু! এখন বলব না। বললে মজা শেষ হয়ে যাবে। এখন কী খাবে বল?
চার
১৪-ই ফেব্রুয়ারি। আজকেই অপলাকে উপহারটা দেয়ার কথা।
কয়েক মাসে কিছু টাকা জমিয়েছে বিপ্লব। কি উপহার দেয়া যায় অপলাকে? বিপ্লব বাসা থেকে বের হয়ে গেল উপহার কেনার উদ্দেশ্যে। এলিফ্যান্ট রোডে একটি জুতার দোকানে গিয়ে ঢুকল বিপ্লব। অনেক দেখেশুনে একটি সুন্দর জুতা পছন্দ করল বিপ্লব। দামটা একটু বেশি। তাতে কী? এটাই কিনল বিপ্লব । জুতা প্যাক করার সময় দোকানদার বলল- সরি স্যার, জুতার বক্স শেষ হয়ে গেছে, শুধু শপিং ব্যাগে দিচ্ছি, কিছু মনে করবেন না?
- না না ঠিক আছে। সমস্যা নেই।
বিপ্লব দোকান থেকে বের হয়ে এল।
দূরে টোকাই মত একটি ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। টোকাই ছেলেটি আচমকা বিপ্লবের শপিং ব্যাগটি হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেয়ার সময় বিপ্লব ব্যাগটি শক্ত করে ধরতে গিয়ে ব্যাগটি ছিড়ে যায় এবং জুতা জোড়ার একটি জুতা (একপাটি জুত) মাটিতে পড়ে যায়। এবং অন্য জুতাটি ব্যাগের সাথে টোকাই ছেলেটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। বিপ্লব মাটিতে পড়ে থাকা জুতার দিকে তাকিয়ে থাকে। ভিষন মন খারাপ হয় বিপ্লবের।
পাঁচ
বিপ্লব রমনা পার্কের একটি বেঞ্চে বসে আছে। হাতে একপাটি জুতা । জুতার দিকে তাকিয়ে আছে। বিষন্ন মন। এখন অপলাকে সে কি উপহার দেবে? অপলাই-বা কি ভাববে? বিপ্লব সামনে তাকিয়ে দেখল অপলা তার দিকে অসছে। বিপ্লব তাড়াতাড়ি হাতের জুতাটি নিজের পেছনে রেখে দিল।
অপলা বলল -কী ব্যাপার সারা পার্ক খুজলাম কোথাও পেলাম না। এখানে বসে কী করছ?
-না, কিছু না। চলো অন্য কোথাও ঘাসের উপর গিয়ে বসি।
-চলো।
বিপ্লব–অপলা একটি জাগায় ঘাসের উপরে গিয়ে বসে। ঠিক এ সময় টোকাই ছেলেটা ঐ বেঞ্চে এসে একপাটি জুতা দেখতে পায়। সামনে তাকিয়ে দেখে যারা কাছ থেকে সে জুতটা ছিনিয়েছিল এনে ছিল সে এবং একটি মেয়ের একটু দূরে ঘাসের উপর বসে গল্প করছে। টোকাই ছেলেটার মন খারাপ হয়ে যায়। সে নিজের ভালোবাসার মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য অন্যের ভালোবাসার মানুষের উপহার চুরি করে এনেছে। ঠিক এ সময় টোকাই ছেলেটার পেছনে একটি টোকাই মেয়ে এসে দাঁড়ায়।
ছয়
বিপ্লব উপহারের সব কথা অপলাকে খুলে বলল।
এমন সময় টোকাই ছেলেটা তাদের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং জুত জোড়া বাড়িয়ে দেয়। বিপ্লব রাগে উঠে দাঁড়ায় কিন্তু অপলা তাকে টেনে নিচে বসায়। অপলা টোকাই ছেলেটার হাত থেকে জুতা জোড়া নেয় এবং জুতা জোড়া দেখতে থাকে। খুব সুন্দর একটি জুতা। লাল রঙের ফিতাওয়ালা সম্পুর্ন চামড়ার একটি জুতা। সামনের দিকে সাদা ছোট ছোট পাথড় বসানো। রোদের আলোতে পাথড় গুলো ঝলমল করছে।
টোকাই ছেলেটি চলে যেতে থাকে। সাথে টোকাই মেয়েটিও। টোকাই ছেলেটি টোকাই মেয়েটিকে বলে– চল অপলা আগামী বছর তোকে জুতা এনে দিব। এ কথাটি বিপ্লব শুনতে পায়। কিন্তু মেয়েটার চেহারা দেখতে পায় না এবং টোকাই ছেলেটির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
সাত
এক বছর পর।
টোকাই ছেলেটা আগের জুতার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে, কখন জুতা হাতে কেউ একজন বের হবে। ঠিক এমন সময় কেউ একজন টোকাই ছেলেটার কাঁধে হাত রাখে। টোকাই ছেলেটি ভয় পেয়ে যায়। পেছন ঘুরে তাকাতেই সে আঁতকে উঠে।
বিপ্লব এক জোড়া জুতা টোকাই ছেলেটার হাতে দেয়। আর বলে -তোমার অপলার জন্য।
টোকাই ছেলেটি জুতো জোড়া নেয় এবং বিপ্লবকে জিজ্ঞাস করে- আপনার সাথের হেই আফাটা কই? বিপ্লব কোন কথা বলে না। চুপ করে থাকে। বিপ্লব কি করে বলবে যেই অপলাকে সে এত ভালোবাসতো সেই অপলা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। যাকে সে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবেসেছে, যাকে একদিন না দেখলে জীবনের সব কিছু অর্থহীন মনে হয়েছে, যার কথা ভেবে কত রজনী-দিবস এক হয়েছে, যাকে দেখলে শিরা-উপশিরা উষ্ণ হয়েছে, হৃদস্পন্দন শীতল হয়েছে, যাকে ছাড়া এক মুহূর্ত বেচে থাকা দূঢ়হ ব্যাপার সে কিনা আজ তার থেকে অনেক দূরে, নক্ষত্র থেকেও দূরে, বহু দূরে। আমার বিশ্বভম্মান্ড আমায় ছেড়ে চলে গেছে। এখন আমি সম্পূর্ণ একা। বিপ্লব কি করে টোকাই ছেলেটিকে এসব বলবে- গভিরতা যে হৃদয়ে একটুও নেই, সে কি করে মানুষকে ভালোবাসবে!
বিপ্লব ও টোকাই ছেলেটি রমনা পার্কে চলে আসে। টোকাই ছেলেটি অপলাকে (টোকাই মেয়েটিকে) ডাকে। অপলা (টোকাই মেয়েটি) টোকাই ছেলেটার সামনে এসে দাঁড়ায়। বিপ্লব মেয়েটিকে দেখে খুব অবাক হয়। কারন এই অপলা (টোকাই মেয়েটি) অবিকল বিপ্লবের অপলার মতই দেখতে। টোকাই ছেলেটি জুতার বক্সটি অপলাকে (টোকাই মেয়েটিকে) দেয়। অপলা (টোকাই মেয়েটি) বাক্স খুলে জুতা দেখছে, খুব সুন্দর জুতা।
আনমনে বিপ্লব টোকাই ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করে -আচ্ছা তোমার নাম কী?
টোকাই ছেলেটি উত্তরে বলে -আমার নাম বিপ্লব।
আট
টোকাই অপলা-বিপ্লব চলে যাচ্ছে।
বিপ্লব তাদের দুজনের চলে যাওয়ার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে। ভাবছে, তাদের ভালোবাসায় দারিদ্রতার কোন দেয়াল নেই। বাস্তবতায় তারা দরিদ্র কিন্তু তাদের ভালোবাসায় কোন দৈনতা নেই। দৈনতা থাকে শুধু ধনি আর গরিবে। গরিবে গরিবে কখনো ভিন্নতা থাকে না।
টোকাই অপলা-বিপ্লব অনেক দূর গিয়ে গাছের আড়ালে চোখের সীমানা পেরিয়ে মিলিয়ে গেল। সেই সাথে বিপ্লবের ভালোবাসা দূর থেকে বহু দূরে দুসর হতে হতে মহাকালে হারিয়ে যাচ্ছে।
13 Comments
ভাল লেগেছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ। এমন সাহিত্য নির্ভর গল্প পেতে আমাদের উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী'র সাথেই থাকুন।
Deleteএমন অনেক বিপ্লব ও অপলা ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলা অবাধে নিষ্ঠুর মনে। আবেগ থেকে স্বপ্ন অনেক সুন্দর। স্বপ্ন ভেঙে গেলে আফসোস হয় কিন্তু আবেগ ভেঙে গেলে একটি সুন্দর সরল মনের মৃত্যু হয়। শৈল্পিক ভাই সুন্দর হয়েছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ। আপনাদের অনুপ্রেরণা নতুনদের ব্যাপক উৎসাহ যোগায়। উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী'র সাথেই থাকুন এবং নতুনদের প্রেরণা যোগান।
Deleteকথাগুলো বাস্তব এবং সুন্দর
ReplyDeleteধন্যবাদ। উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী'র সাথেই থাকুন।
Deleteনস্টালজিক ভাবনা...
ReplyDeleteহুম। আবার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে সেই প্রেমময় যৌবনের সময়ে। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী'র সাথেই থাকুন।
Deleteঅলপার মতো অনেক মেয়েরা শুধু ভালোবাসা চায় টাকা চায় না। গল্পটা সুন্দর।
ReplyDeleteহুম ঠিক। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী'র সাথেই থাকুন।
Deleteবেশ কৌতুহলউদ্দীপক পরিসমাপ্তি। বিচ্ছেদের কারন অজানা হলেও তা জানার প্রয়োজন নেই। বিপ্লবের আর্থিক অবস্থার বর্তমান হালচাল সম্পর্কেও লেখক সামান্য ধারনা যেমন দিয়েচেন, তেমনি একাকিত্বও দেখিয়েছেন। দারুন উপভোগ্য ছোটগল্প।
ReplyDeleteজ্বি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য। আশা করি আমাদের উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী'র সাথেই থাকবেন।
Deleteগল্পটা ভালো লেগেছে। অর্থ-আভিজাত্যে নয়, মায়ায় ভালোবাসা সুন্দর। বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ নেই বলেই গল্পটি ভালো লেগেছে, ইউনিক লেগেছে। বেশিরভাগ গল্পের শেষে কারণটা বোঝা যায় বলেই পরবর্তীতে গল্প পড়পর আগ্রহ হারিয়ে যায়। এটা ভিন্ন স্বাদের ছিল। আপডেট চাই এবং সামনে এমন রসালো আরও গল্প চাই শৈল্পিক ভাই। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ReplyDelete