Advertisement

উন্মেষ

এবার লিটলম্যাগটা একটু অবহেলিত মনে হচ্ছে: রনি রেজা

 

রনি রেজা একজন কবি ও কথাশিল্পী। তিনি ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামে মাতুতালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে গ্রামেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ডেইলি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তার প্রকাশিত বইগুলো হলো: ‘এলিয়েনের সঙ্গে আড্ডা’ (গল্পগ্রন্থ) ও ‘পাখিবন্ধু’ (শিশুতোষ গল্প), ‘মস্তিষ্কের তৃতীয় মুদ্রণ’ (গল্পগ্রন্থ) ‘খালুইভর্তি হাহাকার’ তার চতুর্থ বই। তিনি সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘কিচ্ছা’ সম্পাদনা করেন। অর্জন করেছেন ‘বেহুলা বাংলা বেস্ট সেলার বই সম্মাননা’, ‘ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল লেখক সম্মাননা’ এবং ‘সাহিত্য দিগন্ত লেখক সম্মাননা’।

বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে রনি রেজা কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কী কী বই থাকছে?

রনি রেজা: এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আমার গল্পের বইখালুইভর্তি হাহাকারপ্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশনী। এটি পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৭০, ১৭১ নং স্টলে। এছাড়াও আগে প্রকাশিত তিনটি বইএলিয়েনের সঙ্গে আড্ডা’, ‘মস্তিষ্কের তৃতীয় মুদ্রণএবংপাখিবন্ধুপাওয়া যাচ্ছে বেহুলা বাংলা প্রকাশনার ৩৮৪, ৮৫, ৮৬ নং স্টলে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় কি গিয়েছেন? বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?

রনি রেজা: জীবিকা ব্যস্ততা পাশ কাটিয়ে পর্যন্ত দুদিন বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এবারের মেলাটা একটু বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। গেল দুই বছর মেলা হলেও সেভাবে উদযাপন হয়েছে বলা যাবে না। করোনা মহামারির মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল। এবার সেটা নেই। সেটা মেলায় উপস্থিত দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর পরিবেশের কথা বলতে ওই ধুলাবালি। প্রতিবছরই থাকে। খুব জ্বালায়। প্রতিবছরই আমরা এটা নিয়ে কথা বলি। কোনো কাজ হয় না। এবার হবে বলেও মনে হচ্ছে না। তবে ধুলাবালি রোধে আয়োজক কমিটি একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই পারে। করলে সবার জন্যই ভালো হবে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কী ধরনের বই সংগ্রহ করলেন এবার?

রনি রেজা: এবছর দুইদিন মেলায় যেতে পেরেছি। একদিন তো সঙ্গে ভাগ্নে ছিল। তাকেই কিছু সায়েন্সফিকশন, মুক্তিযুদ্ধের বই কিশোর উপন্যাস কিনে দিলাম। আরেক দিন কয়েকটা উপন্যাস কবিতার বই সংগ্রহ করেছি। প্রতিবছর প্রচুর গল্পের বই সংগ্রহ করে থাকি। এবছরও করব ইচ্ছে আছে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: এবারের বইমেলায় আগের বইমেলা থেকে কি কোনো পার্থক্য রয়েছে? থাকলে তা কি?

রনি রেজা: পার্থক্য তো কিছু থাকেই। সজ্জা, বিন্যাস থেকে শুরু করে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। এবার লিটলম্যাগটা একটু অবহেলিত মনে হচ্ছে। লিটলম্যাগের জন্য ২০২০ সালে নির্ধারিত জায়গাটিই আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। ওটা স্থায়ী করে দিলে মন্দ হবে না। ফুড কর্নার নিয়ে প্রতিবছর নানাজনের অভিযোগ শোনা যায়। তবে এবারের ফুডকর্নার ভালো হয়েছে। একপাশে। পুরেটা ঘেরা।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কী বলতে চান?

রনি রেজা: আমার আলাদা করে কিছু বলার নেই। একটিই কথা প্রচুর বই পড়তে হবে। কিনতে হবে। মেলা থেকে বই কিনলে মেলা বেঁচে থাকবে। আর সবাই শৃঙ্খলা বজায় রাখুক, সুন্দর থাকুক; এটিই চাওয়া।

Post a Comment

0 Comments