মাহাদী সেকেন্দার একাধারে লেখক, প্রাবন্ধিক, গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও একটি গণমাধ্যমের ফিচার সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। লেখক হিসেবে পরিচিতির পাশাপাশি বিতর্ক, অভিনয়, উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সক্রিয় পদচারণা রয়েছে তার।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে লেখকের কলাম, ছোটগল্প, কবিতা, ফিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় দু'শতাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ দুটি।
বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে মাহাদী সেকেন্দার কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
মাহাদী সেকেন্দার: অমর একুশে গ্রন্থ মেলা ২০২২ এ প্রকাশিত আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ 'প্রেয়সী' এর পাশাপাশি এবারের বই মেলায় প্রকাশিত আমার প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ও বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বাবুই প্রকাশনীর স্টল নম্বর: ৩৩৭-৩৩৮ এ পাওয়া যাবে।
বইমেলায় কি গিয়েছেন? বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?
মাহাদী সেকেন্দার: বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। আমি শুরুতেই বইমেলা গিয়েছি এবং মাঝে মধ্যে বিশেষ করে ছুটির দিনে আমার বইমেলা যাওয়া হয়। আমি সবসময় মেলায় নিজের উপস্থিতি উপভোগ করে থাকি।
এবার করোনা পরবর্তী সময়ে ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখে শুরু হওয়া বইমেলা নিশ্চয় আমাদের জন্য আনন্দের। মেলার সার্বিক পরিস্থিতি আমি বলবো অনেকটা গোছানো এবং সুন্দর। আশাকরি পাঠক -লেখক ও প্রকাশকের মেলবন্ধনে একটি সুন্দর বইমেলা আমরা উপভোগ করবো।
বইমেলা থেকে কি ধরনের বই সংগ্রহ করলেন এবার?
মাহাদী সেকেন্দার: আমি সাহিত্য এবং ইতিহাস নির্ভর প্রবন্ধ গ্রন্থ সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যেই প্রিয় কয়েকজন লেখকের বই সংগ্রহ করেছি এবং আরও বই সংগ্রহ করার ইচ্ছা রয়েছে।
এবারের বইমেলায় আগের বইমেলা থেকে কি কোনো পার্থক্য রয়েছে? থাকলে তা কি?
মাহাদী সেকেন্দার: প্রতিটি মেলায় কিছুটা ভিন্নতা নিশ্চয় থাকে। এবারের প্রকাশনীর জন্য বরদ্দ স্টল বিন্যাস এবং শিশু কর্ণার ও লিটলম্যাগ চত্বর এর এলাকায় ভিন্নতা এসেছে। সবমিলিয়ে এর বাইরে খুব একটা পার্থক্য আছে বলে আমি মনে করি না।
বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চান?
মাহাদী সেকেন্দার: বইমেলার প্রাণ পাঠক সুতরাং তাদের উপস্থিতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লেখকের সৃষ্টিকর্ম পাঠকের জন্য ফলে তাদের সাথে লেখকের একটি সেতুবন্ধন বইমেলা। আমি অনুরোধ করবো মেলায় এসে পছন্দের বই সংগ্রহ করার। বই পড়ার প্রতি আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।
0 Comments