Advertisement

উন্মেষ

কয়েকপৃষ্ঠা না পড়ে বই কিনলে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা আছে: অমিত কুমার কুণ্ডু

অমিত কুমার কুণ্ডু তরুণ গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিয়মিত গল্প-কবিতা, ছড়া, গোয়েন্দা গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস লিখে চলেছেন। তার লেখার জগতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে রয়েছে রহস্য, থ্রিলার ও গোয়েন্দা গল্প ।

বর্তমানে তিনি মহেশপুর সাহিত্য পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পেয়েছেন মহেশপুর সাহিত্য পরিষদ পদক। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের পত্রিকায় তার লেখা বেশির ভাগ রচনাই পাঠকপ্রিয় হয়েছে। তার গল্প অসমীয় ভাষায় অনূদিত হয়ে আসামের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি রহস্য, গোয়েন্দা ও থ্রিলারপ্রেমী পাঠকশ্রেণির জন্য রচনা করেছেন গল্পগ্রন্থ ‘কাপ্তাইয়ে কিস্তিমাত’।

বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে অমিত কুমার কুণ্ডু কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-

পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?

অমিত কুমার: এবারের বইমেলায় পাঠকদের জন্য আমার ১৭টি বই থাকছে। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে 'ভূতবাংলো রহস্য', শিশু গ্রন্থকুটির থেকে ৪টি 'ভূতবন্ধু ও পরিকুমারের গল্প', 'গুপ্তধন ও বনকুমারের গল্প', 'গল্প-কথায় বর্ণমালা', 'অচিনপুরের রূপকথা', আদিগন্ত প্রকাশন ও শিশুপ্রকাশ থেকে 'ফার্স্ট বেঞ্চের ছাত্র', 'বঙ্গবন্ধু অবিনাশী অক্ষয়', 'পরিবন্ধু ও জাদুর খাতা', পাললিক সৌরভ থেকে 'কাপ্তাইয়ে কিস্তিমাত',  শ্রাবণ প্রকাশন থেকে 'বঙ্গবন্ধু তুমি আমার', রেনেসাঁ থেকে 'গল্পে গল্পে শুদ্ধ ভাষা', খুশবু থেকে 'বড়ো হতে চাও, রোজ ফল খাও'। এছাড়াও প্রতিভা প্রকাশ থেকে ৩ টি বই, রোদ্দুর প্রকাশন থেকে ২ টি বই ও পঙ্খিরাজ থেকে ১ টি বই বর্তমানে আউট অব প্রিন্ট অবস্থায় আছে।

বইমেলায় কি গিয়েছেন? বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?

অমিত কুমার: ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অফিস হবার কারণে একরকম আমার অফিসের আঙিনাতেই বইমেলা হচ্ছে। সেজন্য নিয়ম করে রোজই বইমেলায় যাওয়া হচ্ছে। বইমেলার পরিবেশ ভালো। প্রচুর বই বিক্রি হচ্ছে। এবারের বইমেলা এযাবৎকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বইমেলা হতে যাচ্ছে।

বইমেলা থেকে কী ধরনের বই সংগ্রহ করলেন এবার?

অমিত কুমার: কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার সম্পাদিত, পরিবার পাবলিকেশ থেকে প্রকাশিত ‘বারবনিতার গল্প’ সংগ্রহ করেছি। এছড়া পলাশ প্রকাশন থেকে পল্লীকবি জসিমউদদীন রচিত বাঙালির হাসির গল্প ২ খণ্ড ও ঠাকুরবাড়ির আঙিনায় বইগুলো সংগ্রহ করেছি। কবি সুমনা গুপ্তার কবিতার বই উপহার পেয়েছি। আর নিজের বই তো সংগ্রহ হয়েই গেছে।

আগের বইমেলা থেকে কি কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করেছেন?

অমিত কুমার: ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট এর দিকের গেইটটা প্রতিদিন খোলা রাখা উচিত। এটা নিয়মিত খোলা হচ্ছে না। তাছাড়া বইমেলার স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলো খুব ঘন হয়ে গেছে। একটু হালকা হলে ভালো হতো।

বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে কী বলতে চান?

অমিত কুমার: পাঠকবৃন্দের প্রতি একটিই কথা বলতে চাই। আপনারা বইয়ের নাম, প্রচ্ছদ, অফার, লেখকের নাম, গিফট, অতিরিক্ত ছাড় বা কারো পরামর্শে বা কাউকে খুশি করতে বই কিনবেন না। বই কেনার আগে পড়ে, বুঝে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কিনবেন। কেনার আগে চিন্তা করবেন, বইটি সত্যিই আপনার কাজে লাগবে কি না। কয়েকলাইন বা কয়েকপৃষ্ঠা না পড়ে বই কিনলে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা আছে। বই আপনাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠুক। ভালো বই কিনুন, ভালো বই পড়ুন। ভালো বই থেকে ভালো বন্ধু আর হতে পারে না। ভালোবাসা।

Post a Comment

0 Comments