প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ- ‘উপদ্রুত ঘাসের ভেতর’, ‘তেত্রিশ নম্বর জীবন’, ‘তিন নম্বর লোকাল’। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ (গবেষণা), ‘ব্লগ কী লিখবেন কেন লিখবেন কীভাবে লিখবেন’ (গণমাধ্যম), ‘পারুল’ (শিশু-কিশোর), ‘জ্যোৎস্না রাতের গল্প’ (কবিতা)। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘ভিন্ন ভাষার সাহিত্য পাঠ’ (বিশ্বসাহিত্য), ‘ঘাসফডিং জীবন’ (গদ্য), ‘বইমেলা অন্যচোখে’ (সাক্ষাৎকার-প্রবন্ধ)।
বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে সাইফ বরকতুল্লাহ কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
সাইফ বরকতুল্লাহ : দুই বছর পর এবার (একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২) আমার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গল্পগ্রন্থটির নাম ‘উপদ্রুত ঘাসের ভেতর’। আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘তেত্রিশ নম্বর জীবন’ প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে। দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘তিন নম্বর লোকাল’ প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।
‘উপদ্রুত ঘাসের ভেতর’ - এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত গল্পগুলো মনস্তাত্ত্বিক ভাবনায় বিস্তৃত। আবার অনেকটা নীরিক্ষাধর্মী। গল্পগুলোর বিষয়বস্তু খুব চেনা হলেও এই সময়ের জীবনযাপন ও অভিঘাত চিত্রায়িত হয়েছে। গল্পগুলো উপস্থাপনায় নতুনত্ব পাবেন পাঠকরা। এছাড়া নামগল্পটি ‘উপদ্রুত ঘাসের ভেতর’ একেবারেই অভিনব। করোনায় বিধ্বস্ত এক যুবক। বদলে যাচ্ছে সবকিছু। করোনাকালে আগামী দিনে কী হবে? কেমন যাবে সামনে? এর সঙ্গে সময়ের অসহায়ত্বে দুঃসহ যন্ত্রণা, সবকিছু যেন হারিয়ে যেতে বসেছে জীবন থেকে। এসব নিয়ে এই গল্প ‘উপদ্রুত ঘাসের ভেতর’।
এছাড়া গত দুই বছরে অর্থাৎ করোনাকালে কয়েকটি ওয়েবম্যাগের জন্য সন্ধ্যা সিরিজ (কয়েকটি গল্প) লিখেছিলাম। এই গল্পগুলোতে ফুটে উঠেছে রুদ্ধশ্বাস দিনযাপন, প্রিয়জনের জন্য ব্যকুলতা, অসহায় জীবনাচরণ, করোনকাল এবং তরুণদের মনস্তাত্ত্বিক আখ্যান। এই গুল্পগুলোও এই গ্রন্থে সংযোজন করেছি।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?
সাইফ বরকতুল্লাহ : করোনার আঁধার কেটে গেছে। এবার বইমেলার প্রথম দিনই জমজমাট। আমার দেখা গত ১০ বছরে বইমেলা শুরুর দিন এত লোক সমাগম দেখিনি। প্রথম দিনই দর্শনার্থীদের এত উচ্ছ্বাস আমাকে পুলকিত করেছে।
মেলার প্রবেশ পথে দেখলাম মাস্ক বিক্রি করতে। আর গেইটে ঢুকার সময় হ্যান্ড সেনিটাইজার হাতে দিচ্ছিলেন দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবক ভাইয়েরা। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বইমেলার দ্বিতীয় দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই টিএসসির গেটে দেখলাম ভ্রাম্যমাণ হকাররা ফুল বিক্রি করছে। কেউ খাবার বিক্রি করছে। বইমেলায় আগত দর্শনার্থীরা কেউ ফুল কিনছেন। তরুণীরা ফুল কিনে নিয়ে মাথায় সাজছেন। দারুণ এক দৃশ্য।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কি ধরনের বই কিনছেন?
সাইফ বরকতুল্লাহ : এবার আমি উপন্যাস বেশি কিনেছি। বাছাইকৃত ও তরুণ লেখকদের গল্পগ্রন্থ কিনেছি। কিছু অনূদিত কথাসাহিত্যের বই কিনেছি।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: করোনাকালে বইমেলাকে কোন চোখে দেখছেন?
সাইফ বরকতুল্লাহ : এটা অবশ্যই পজিটিভ যে, এবার বইমেলা মাসব্যাপী হচ্ছে। গত বছর তো বইমেলা সেই অর্থে হয়নি। এতে লেখক, প্রকাশক, পাঠক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে এবার বইমেলা দারুণ জমেছে। গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন প্রকাশকরা। কয়েকদিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই মেলায় গেছি এবার। দেখলাম পাঠকরাও প্রচুর বই কিনেছেন।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কি বলতে চান?
সাইফ বরকতুল্লাহ : বই কিনুন। বই পড়ুন। প্রিয়জনকে বই উপহার দিন।
0 Comments