রণজিৎ সরকার কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তিনি শৈশব থেকেই জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লিখে চলছে। ২০১২ সালে তার প্রথম বই প্রকাশ হলেও এবার এসে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে। তিনি কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার অর্জন করেছেন। লেখালেখির নেশা থেকেই পেশা হিসাবে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। রণজিৎ সরকার একটি জাতীয় দৈনিকে সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত আছেন।
বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে রণজিৎ সরকার কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: এবার বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশ হয়েছে?
রণজিৎ সরকার: এবার বড়দের একটি উপন্যাস ‘জননীজন্ম’। বইটি প্রকাশ করছে বেহুলাবাংলা। আর ছোটদের দুটি বই একটি ‘গল্পে গল্পে দশরত্ন’ অন্যটি ‘প্রাণিজগতে আনন্দে একদিন’ এই বই দুটি প্রকাশ করেছে বাবুই। এ ছাড়ার বিগত বছরের বইগুলো রয়েছে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?
রণজিৎ সরকার: বইমেলায় ঢোকার সময় স্বাস্থ্যসুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজ করার সুব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটেই প্রত্যেকের হাতে দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে বইমেলার জন্য এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। বইমেলার পরিসর বেড়ে যাওয়া ক্রেতারা কয়েকটি স্টল বাদ দিয়ে বিভিন্ন স্টলে গিয়ে আরাম করে বই কিনতে পারছে। মাসব্যাপী উৎসবে পাঠকের মেলাও বসে। তাই মেলার পরিবেশ সুন্দর রাখলে পাঠকরা আসার আগ্রহ দেখায়। মেলার পরিবেশ রক্ষার জন্য সবার সচেতন থাকতে হবে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কি ধরনের বই কিনছেন?
রণজিৎ সরকার: বই কেনার শেষ নেই। বিভিন্ন ধরনের বই কিনি। তবে পছন্দের ও প্রয়োজনীয় বইগুলো বেশি কিনা হয়। বিশেষ করে প্রিয় লেখকের বই এবং পরিচিতদের বই কেনার আগ্রহ বেশি থাকে। আর শিশুকিশোরদের উপহার দেওয়ার জন্য কিছু বই কেনা হয়।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: করোনাকালে বইমেলাকে কোন চোখে দেখছেন?
রণজিৎ সরকার: করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মেলায় অনেকেই আসতে পারেনি। বিধিনিষেধ ও মেলার সময় ছিলে এলোমোলো, তাই অনেকেই সময় করে ও সাহস করে ঝুঁকি নেয়নি। এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার নিম্মমুখী হওয়াতে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবুও পাঠকেরা সচেতন হয়ে মেলায় আসছে। ঢাকা শহরের বন্দী মানুষগুলো এবার মেলায় আসছে। এবার মেলায় পাঠকের সমাগম দেখে ভালো লাগছে। এবার বইমেলার অনেকেগুলো ইতিবাচক দিক রয়েছে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কি বলতে চান?
রণজিৎ সরকার: যারা বইমেলায় আসেন। তাদের একটা কথা খুব করে বলতে চাই। কথাটা হলো- নিজের প্রিয় লেখক ও প্রয়োজনীয় বই তো কিনবেন। এবং তার পাশাপাশি আপনার পরিবারের সদস্যদের বই কিনে উপহার দিন। উপহার দেওয়ার পর বইটি পড়ছে কি না তা খোঁজখবর নিন। যদি না পড়ে থাকে তাহলে তাকে বিভিন্নভাবে বইটি পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন। দেখবেন একটা সময় বইটি পড়ে ফেলবে। এভাবেই পরিবারের সদস্যের ভেতর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার কৌশল গ্রহণ শুরু করুন।
0 Comments