Advertisement

উন্মেষ

বই পড়া ছাড়া মানবিক মানুষ ও সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না- জয়শ্রী দাস

 

জয়শ্রী দাস কথাসাহিত্যিক ও গবেষক। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত গল্প ও কলাম লিখছেন। শৈশব থেকেই জয়শ্রী দাস মেধার পরিচয় দিয়ে আসছেন। পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও একেএম কলেজ পটুয়াখালী থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। জয়শ্রী দাস পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে (বিএসটিআই) উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে জয়শ্রী দাস কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত- 

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?

জয়শ্রী দাস: এবারের একটি গল্পের বই প্রকাশ হয়েছে। বইটির নাম ‘বিবর্ণ নয়নতারা’। এছাড়াও আছে চারটি উপন্যাস আছে। উপন্যাসগুলো হলো- একটু অন্যরকম গল্প, সে এবং দ্বিতীয়, সদয় অবগতি, তুমি আছো কবিতা নেই। এই বইগুলো পাওয়া যাবে মেলায় সিঁড়ি প্রকাশনের ৬১ নম্বর স্টলে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?

জয়শ্রী দাস: খুবই সুন্দর পরিবেশ। বৃহৎ পরিসরে বইমেলা হচ্ছে । পাঠকরা ঘুরে ঘুরে বই কিনতে পারছে। দেখা ভালো লাগছে। সবার চোখে-মুখে বই কেনার আনন্দ।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কী ধরনের বই কিনছেন?

জয়শ্রী দাস: শিশুদের বই, প্রবন্ধের বই, গল্প আর উপন্যাস। তালিকা ধরে ধরে কিছু বই কেনা হয়। আর আমার দুই বাবু আছে। মনন আর রণন। তারা মেলায় এসে যে বই পছন্দ করে সেটা নিয়ে দিতে হয়।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: করোনাকালে বইমেলাকে কোন চোখে দেখছেন?

জয়শ্রী দাস: যেহেতু এখন সংক্রামন কমে আসছে, আমার মনে হয় করোনাকালীন বইমেলা শিশু কিশোর সবার মনে বইমেলার যাওয়ার একটা আনন্দ কাজ করে। কারণ গত বছর করোনা ভাইরাসের জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারিনি। এবার যারাই মেলায় আসছে, তারা বই কিনছে।  আর একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি যারা আসছেন সবাই সচেতনার সাথে মাস্ক পরে আসছেন। করোনা ভাইরাস কমে গেলেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে সবার।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কী বলতে চান?

জয়শ্রী দাস: আমাদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য বেশি বেশি বই কিনুন। নিজে পড়ুন এবং অন্যকে বই কিনে উপহার দিন। বই পড়ে মননের উন্নতি ও মানবিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে। বই পড়া ছাড়া কোনোভাবেই মানবিক মানুষ ও সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য সন্তানের হাতে বই তুলে দিন। সেই সন্তান ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালোবাসার সঞ্চয় হবে, আপনার জীবনকে করে তুলবে সহনশীল ও মানবিক।

Post a Comment

0 Comments