তার প্রকাশিত বইসমূহ: পাপ ও পুনর্জন্ম, চাঁদের মাটির টেরাকোটা, সুন্দরবন সিরিজ, কাচের মেয়ে, ভাষাচিত্র, জলমানুষ, ভাষাচিত্র ও এলিয়েন। তিনি তার লেখা কাব্যগ্রন্থ 'সুন্দরবন সিরিজ'র জন্য আইএফআইসি নিবেদিত কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে চাণক্য বাড়ৈ কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: এবার বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশ হয়েছে?
চাণক্য বাড়ৈ: উপন্যাসের পাঠকদের জন্য থাকছে দুটি উপন্যাস। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি এবং স্বাধীনভাবে চলতে চাওয়া একটি মেয়ের করুণ বাস্তবতা নিয়ে লেখা ‘কাচের মেয়ে’ এবং সুন্দরবনের জলদস্যুদের জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘জলমানুষ’। দুটো উপন্যাস পাওয়া যাবে ভাষাচিত্রের ৩৮১-৩৮২-৩৮৩-৩৮৪ নম্বর স্টলে। এখানে আমার সদ্য প্রকাশিত কবিতার বই 'সুন্দরবন সিরিজ' পাওয়া যাবে। এছাড়াও ৪০৩-৪০৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে আমার দ্বিতীয় কবিতার বই 'চাঁদের মাটির টেরাকোটা'।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?
চাণক্য বাড়ৈ: বেশ ভালো। কোভিড-কালীন বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই স্টল বিন্যাস করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, মেলাটা বেশি ছড়িয়ে গিয়েছে। যেসব পাঠক এক দিনের জন্য মেলায় আসবে, তার পক্ষে পুরো মেলা ঘুরে সব স্টলে গিয়ে বই সংগ্রহ করা কঠিন হবে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কি ধরনের বই কিনছেন?
চাণক্য বাড়ৈ: কবিতার বই প্রতিবছরই আমি বেশি কিনি। এবারও তা-ই হয়েছে। বিশেষ করে খুব সম্প্রতি যারা লিখছেন, তাঁদের কবিতার বইয়ে প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এরপর আছে প্রবন্ধ, উপন্যাস ও গল্প।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: করোনাকালে বইমেলাকে কোন চোখে দেখছেন?
চাণক্য বাড়ৈ: এই মেলাকে দেখছি, করোনার বিপুল ক্ষতি সামলে প্রকাশনা শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার হিসেবে। বিশেষ করে, মেলার বর্ধিত সময় কিছুটা হলেও লেখক-প্রকাশক-পাঠকের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কি বলতে চান?
চাণক্য বাড়ৈ: বলব, লেখকের নাম শুনে নয়, বইয়ের কয়েকটি পাতা উল্টে দেখে যেন তাঁরা বই কেনেন। ভালো লিখছেন, এমন তরুণদের বই কিনলে জাতি ভবিষ্যতে ভালো লেখক পাবে। এটুকুই শুধু বলার।
0 Comments