স্বকৃত নোমান বাংলা ভাষার তরুণ কথাশিল্পী। জ্ঞানার্জন ও লেখালেখিকে জীবনের প্রধান কাজ বলে মনে করেন। প্রকাশিত উপন্যাস : রাজনটী, বেগানা, হীরকডানা, কালকেউটের সুখ, শেষ জাহাজের আদমেরা, মায়ামুকুট। গল্পগ্রন্থ : নিশিরঙ্গিনী, বালিহাঁসের ডাক, ইবিকাসের বংশধর, বানিয়াশাত্মার মেয়ে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে আরও ৩৫টির বেশি বই। এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল হুমায়ূন আহমেদ তরম্নণ সাহিত্যিক পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারসহ ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননায়। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।
বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে স্বকৃত নোমান কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
স্বকৃত নোমান: একটি উপন্যাস। মহুয়ার ঘ্রাণ। প্রকাশ করেছে বিদ্যাপ্রকাশ। এছাড়া পাঠক সমাবেশ এনেছে প্রবন্ধের বই 'উপন্যাসের পথে'। পাঠক সমাবেশ থেকে আরও এসেছে দুই খণ্ডে উপন্যাস সংগ্রহ এবং এক খণ্ডে গল্প সংগ্রহ।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?
স্বকৃত নোমান: বই মেলার পরিবেশ তো আগের চেয়ে অনেক ভালো। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো সুবিন্যস্ত। লেক, স্বাধীনতা স্তম্ভ মেলার পরিবেশকে আরও সুন্দর করেছে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কী ধরনের বই কিনছেন?
স্বকৃত নোমান: সব ধরনের বই সংগ্রহ করছি। বিশেষ করে গবেষণাধর্মী বইগুলো কিনছি। গল্প-উপন্যাস-কবিতাও কিনছি।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: করোনাকালে বইমেলাকে কোন চোখে দেখছেন?
স্বকৃত নোমান: করোনার জন্য গত বছর বইমলো ঠিকভাবে হয়নি। এবার করোনার প্রকোপ তেমন নেই। করোনায় তো সব কিছুই খোলা। বইমেলা ১ তারিখ থেকেই হতে পারত। পেছানোর দরকার ছিল না। দেরিতে হলেও মেলা হচ্ছে, এটা আনন্দের ব্যাপার।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কী বলতে চান?
স্বকৃত নোমান: বইমেলা এখন জাতীয় উৎসব। পাঠকরা মেলায় এসে এ মেলাকে জমিয়ে তুলবেন এই প্রত্যাশা।
0 Comments