সালাহ উদ্দিন মাহমুদ পেশায় সাংবাদিক। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক লিখছেন নিয়মিত। এ পর্যন্ত তার নয়টি বই প্রকাশ হয়েছে। এক ডজনেরও বেশি পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন।
বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে কথা বলেছেন উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: পাঠকদের জন্য বইমেলায় আপনার কি কি বই থাকছে?
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ: পুরোনো বইগুলো তো আছেই। নতুন থাকছে গল্পের বই 'এখানে কয়েকটি জীবন'। বইটি কিংবদন্তী পাবলিকেশনের ৭৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। মমতা ও আমার আমি পাওয়া যাচ্ছে অন্যধারায়।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলার পরিবেশ কেমন লাগছে?
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ: অনেক ভালো লাগছে। পরিসর বেড়েছে। প্রবেশপথও যথার্থ। বসার ব্যবস্থা আছে। তবে লেখক বলছি মঞ্চ লেখকশূন্য দেখেছি। নারীদের শৌচাগার বাড়ানো যেত। অনেকেই দুর্ভোগের কথা বললেন। এ ছাড়া করোনাকাল বিবেচনায় আয়োজকরা যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন। বিক্রিও ভালো বলা যায়।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলা থেকে কী ধরনের বই কিনছেন?
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ: দুঃখের বিষয়, আব্বার অসুস্থতার কারণে এবার এ পর্যন্ত একদিন গিয়েছি। একুশ ফেব্রুয়ারির বিকেলের দিকে। একটি গল্পগ্রন্থ ও একটি মোটিভেশনাল বই কিনেছি। পরে সুযোগ পেলে পছন্দের কিছু বই কিনবো।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: করোনাকালে বইমেলাকে কোন চোখে দেখছেন?
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ: বাঁকা চোখে দেখছি না। এত বড় মহামারি পেরিয়ে বইমেলা করাটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। আশা করি আয়োজন সফল হবে। লেখক-প্রকাশকদের মুখে হাসি ফুটবে।
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী: বইমেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশে কী বলতে চান?
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ: বই পড়ুন। বই কিনুন। প্রকাশনা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখুন। লেখকদের উৎসাহ দিন। বইমেলা ছাড়াও প্রতি মাসে অন্তত একটি করে বই কিনুন। নিজের জ্ঞানকে শানিত করুন। বই পড়ে কেউ আহাম্মক হয় না।
0 Comments