অ
মেরুদন্ডহীন, আমিও কি হব একদিন !
প্রতিদিন এক কাপ চা ।
আত্তায়ী অভিমানে নিহতের শোকসভা!
আ
কবিতা কি অমানুষ - প্রেমিকার মত প্রতারক!
প্রলোভে হারায় প্রাণ, সেকি হন্তারক ?
বিশ্বাস বিবেকের শ্রেষ্ঠ চালক !
ই
পরাহত দুঃখ বলি কারে - কোন সংসদে,
ভুল ছাড়া মানুষ কি আছে , রসমে হৃদয় কাচে
রমনীরা গুম করে কলিজা জখম, সিনার শরম !
ঈ
টাকায় টেকে না প্রেম যুবতী হায়ান—
ফাঁকা মাঠে গোল দেয় চোরা লাঠিয়াল ;
পালিত শেয়াল তুমি চিড়না দেয়াল !
উ
বিরহ পোড়ায় বুক, নগ্ন চিবুক
প্রেম বুঝি পয়নামা - জৈবিক সুখ,
নিষিদ্ধ প্রেমে আজ নাপাক সমাজ ; জবাই কামুক।
ঊ
যৌবন মেলে ধরে সমুখের আয়না
ঘোমটার টানে নারী খোঁজে শুধু গয়না
পুরুষের খোলা বুকে নয়ন ফেলায়না—দূরত্বে বাড়ে কামনা!
ঋ
থেকে যাবে চিহ্ন প্রেমিকার সমস্ত গতরে,
চরিত নাশের ফাঁদ ভালোবাসা আজকাল;
ঢাকবে কি দিয়ে স্মৃতির কলঙ্ক- কলূষিত কঙ্কাল।
এ
কামনার কার্তুজে কেটে নাক কান,
পরগাছা ভুলে যায় শেকড়ের টান ;
লাভ নেই বলে— বাঁচান বাঁচান।
ঐ
সাইনবোর্ডেধারী— বিরাট আকাশ হতে চায়
থাকে না গাছের ছায়; কবি হওয়া কঠিন ব্যপার
কবিপাড়া আজ কোন মহাকবি নাই।
ও
দে ভাইরে বইতে দে— অন্নহীনে অন্ন দে
মনের কতা কইতে, দে আমাদের মুক্তি দে
মুখোশ পড়ে মুখ ঢেকে আর খেল না ছিনিমিনি!
ঔ
বয়স যত বাড়ে আয়ু তত কমে — মৃত্যুর ইলহাম
আকাশের বুক ফেটে নেমে আসে অবিরল বৃষ্টি ;
রৌদ্রকিরণ বেয়ে নেমে আসে যোদ্ধার অবিকল রক্ত।
অভিভাষণ :
আগামী দিনের পদযাত্রী — শুনেছি দূর্গার দপ্তরে যাবতীয় সব মেলে! অথচ বিজ্ঞান তা বলে না।দূর্গায় ঢোল বাজে, বাজবেই তো— সনাতন রীতিমতো। তারা তো পূজার ছলে দেবীকে হাজির করে অন্তরে। কিন্তু কি আজব ব্যাপার! বাবার মাজারে নাকি সব পাওয়া যায়। দর্গায়েও বাজে ঢোল তবলা, বিচ্ছেদ ও ভজনের বেসুরা বিতান, সামাজিক সংকটে এর অবদান— অশেষ বিশেষ থিয়েটার! অগণিত ভন্ডের আখড়া এটা ; দিনকাল ভালো যায় না। তবে এ আকাশ দিল কে, এ বাতাস আসে কোথা থেকে? পানির নহরে পানি, গাভীর ওলানে দুধ, পেটের ভিতরে ভ্রণ! খুঁজে দেখ — ‘রব’ আর ঈশ্বরে প্রভেদ কোথায়, চশমাটা খুলে দেখ— ভগবান থাকেন কোথায়? জন্মের সূত্রটা জেনে নিলে ভালো— বিশুদ্ধ বিশ্বাসে পাবে ‘আল্লাহ’। ওয়াজের নাম করে চাঁদাবাজি করে শয়তান, ওদের কারণে ‘অলি’ হয়ে যায় ম্লান। ধর্মের চেয়ে যেন দৃশ্য বড়— এসব আগাছা না উপড়ে সামাজিক ঐক্যের নাম হবে — অস্থায়ী প্রহসন! ভন্ড ও বেশ্যার ব্যবসার হাত— ছাট, কাট, লাগে পিষে বাট। তবেই সকাল হবে সুখের, মানবীয় হবে — আমাদের ‘শান্তিনগর’।
0 Comments