দংশন
স্রষ্টা তুমি, শিল্পের নিগড় উন্মোচনে আনো অমৃতাভিলাষী সুখ-
অস্তমিত, অমারাত্রি- সম মহাসৃজন কালে।
নবজন্মে যেথায় উত্থাপিত হয় রঙিন দুঃস্বপ্ন;
চিরস্থায়ী, চিরসুন্দরের অববাহিকায় সৃষ্টি হয় নতুন বন্দীশালা।
যেথায় লাঞ্চিত বাসনা পায়ে লুটিয়ে করে মূর্ত বন্দনা-
উল্লাসে
সহাস্যে
আনন্দ - উচ্ছ্বাসে।
অলিখিত বিদ্রুপ সব পায়ে ঠেলে আহাজারি মেপে ;
শিরায় শিরায় চলে ক্রোন্দল,
বক্ষের যত রক্তাক্ততা আর নতজানু জিঘাংসা।
সমস্ত অন্তর জুড়ে নিত্য কামনা,
স্বর্গলোভের তৃষ্ণায় ধুঁকছে গোপন অহম।
আজিকে আমি ভাসি,
আপনার পঙ্ক সাগরে-
বহুকাল যা শুষে নেয়নি কোনো স্বপ্নসুধা বারি।
অপ্রসন্ন
এই যে নিস্তব্ধ নদীতীর ঘেঁষে অবেলায় পড়ে থাকা শামুক কুড়িয়ে তোমার নামের খোলস ছাড়াই-
তাতে একটা বিষম হাহাকার ঠেলে নতুনের ফিঁকে জলে
বেদুইন এসে পাড়ি জমায়, নিশিযাপন করে আর সরল মানসাঙ্ক আঁকে।
আমি ছাঁচে ফেলা নোনাপানির দ্রবণে তলিয়ে যাওয়া স্বর্গ খুঁজি,
মেঘরাজ্য থেকে মর্ত্যে যা অবাধে প্রবেশ করেছিল কোন এক নির্জন অতীতে-
বিষন্নতায়,
বিরহে আর প্রবঞ্চনায়।
সোনালী নদীতট আর বহেরা জনগোষ্ঠীর সারিমূল ঠেলে একটা পায়রা উড়িয়ে দিয়েছে ওপারে,
জলস্থান যেন হ্রদ হয়ে মিশে গেছে সেবারও -
একটা পচা শামুক ভেসে আসে,
দ্বৈরথে; নিঃসঙ্গপনে।
কালো গোলাপ
আমার আহত বুক ভরে যখন তোমার বুকে রাত নামে,
আমি একটা অন্ধকার স্পর্শময় রাত কাটাই-
দুঃসহ,
তীব্র,
উত্তাল,
বিশাল,
অবিশ্
নতদৃষ্টিতে পাজড়ে পাজড়ে ভাঙে অশান্তির অমোঘ বন্যা,
আমি অন্ধত্ব ছাড়িয়ে রাত্রি শক্তির আলোক উৎস হয়ে জেগে উঠি আপনাতে-
(তুমি উঠছো!)
কাঁপে হিয়া, জাগে ধরাধাম, অদম্য দৃষ্টিতে যুগ্ম ঘুমন্ত সূর্য প্রজ্জ্বলিত বানে রাখে স্পর্শের স্বাক্ষর।
স্পর্শ,
স্পর্শ আর সে কি প্রলয়ঙ্কারী স্পর্শ!
নিঃশ্বাসে ঈশ্বরীয় শরীরে ভেসে আসে ফুলের উন্মীলন আর অলজ্জ্ব নব- জন্ম!
0 Comments