Advertisement

উন্মেষ

আমি কবিতার মানুষ


চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার পূর্ব মলিয়াইশ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ধন মিয়ার বাড়ি আয়েশা মুন্নি (আয়েশা করিম মুন্নি)'র পৈত্রিক নিবাস। পিতা ফজলুল করিম ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী। মা চশমে জাহান। দুই ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ বোন। ব্যক্তি জীবনে স্বামী মোঃ জামশেদ আলম, কন্যা ফাইরুজ আলম প্রাপ্তি এবং পুত্র ফাইয়াজ আলম প্রাচুর্যকে নিয়ে তার সংসার। কবিতা ও লেখালেখি আয়েশা মুন্নির প্রাণশক্তির আরাধ্য আকাশ। ‘নীলাভ দূরত্ব (কবিতা), স্বপ্ন শব (কবিতা), অমরাবতীর কথা (গল্প), ইচ্ছে করে আকাশ ছুঁতে (শিশুতোষ ছড়া), গল্পে গল্পে স্বরবর্ণ (শিশুতোষ গল্প), কয়েন (শিশু কিশোর গল্প), রঙিন রোদচশমা (কবিতা) ইত্যাদি গ্রন্থ সহ দেশ বিদেশে তার প্রায় দুই শতাধিকের ও বেশি প্রকাশনা রয়েছে।

আয়েশা মুন্নি'র পুরষ্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে: এস এম মুজিবর রহমান সাহিত্য সম্মাননা স্মারক-২০১৮। কবি আব্দুল হাই মাশরেকী সাহিত্য সম্মাননা-২০১৯। একুশে স্মারক সম্মাননা-২০১৯।
তার কবিতা ভাবনা ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীর হয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ আপনার লেখালেখির শুরুর গল্পটা জানতে চাই?
আয়েশা মুন্নিঃ লেখালেখির শুরুটা ১৯৯২ সালে যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি তখন থেকেই। ছোটবেলা থেকেই কবিতা আবৃত্তি করতাম। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। কবিতার ভালোবাসা সেখান থেকেই ছিলো। তখন থেকেই কিভাবে যেন লেখালেখির সাথে জরিয়ে গেলাম।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ প্রথম লেখা ছাপা হয় কোথায়? প্রথম লেখা প্রকাশের অনুভূতি সম্পর্কে যদি বলতেন?
আয়েশা মুন্নিঃ আমি যখন ফেনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী তখন স্কুল ম্যাগাজিনে আমার প্রথম লেখা ছাপা হয়। আসলে লেখালেখি প্রকাশের অনুভূতিতা সবসময় অসাধারন। প্রথম অনুভুতি সম্পর্কে মনে নেই। তবে ভালোত অবশ্যই লাগছে কারন এখনও লেখা প্রকাশ হলে প্রচন্ড রকমের ভালো লাগে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ কখন নিজেকে মনে হলো আপনি একজন লেখক?
আয়েশা মুন্নিঃ আমার কখনই মনে হয়নি আমি একজন লেখক। এখনও মনে হয়না। আমি লিখি আমার ভিতরের তাগিদে। আমি কখনও ফরমায়েশি লিখি না। আমার ভিতর যখন লেখার তাগাদা দেয় তখন লিখি। লেখক হওয়াটা অনেক কঠিন বিষয়। যখন আমি ভাববো যে আমি লেখক হয়ে গেছি, তখন আমাকে দিয়ে আর লেখা হবে না।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ কবিতায় কোন লেখক দ্বারা প্রভাবিত?
আয়েশা মুন্নিঃ না। কবিতায় আমি কোনো লেখক দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। কবিতা লিখি আমার ভালো লাগা মন্দ লাগা থেকে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ আপনিত দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করেন, একটি সার্থক কবিতার গুন কি?
আয়েশা মুন্নিঃ আমার কাছে সার্থক কবিতা সেইটাই, যখন একজন পাঠক আপনার (লেখক) কবিতাকে নিজের কবিতা হিসেবে ধরে নিবে। আপনার (লেখক) কবিতা যখন পাঠক ভাববে যে এইটা আমার জীবনের গল্প, এইটা আমার। তখনই আপনার কবিতা সার্থক কবিতা হয়ে উঠবে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ আপনার প্রিয় কবি?
আয়েশা মুন্নিঃ  নির্মলেন্দু গুন, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও জীবনানন্দ দাশের কবিতা আমার ভালো লাগে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ ৯২ থেকে বর্তমান বাংলা কবিতার কি পরিবর্তন হয়েছে আপনার দৃষ্টিতে?
আয়েশা মুন্নিঃ বাংলা কবিতার পরিবর্তন যেটা হয়েছে, এখন আমরা যা লিখি যেমন- করছি, আসছি, গিয়েছি এগুলো উত্তর-আধুনিক কবিতা। তখনকার কবিতায় দেখতাম মোর, এখন আমার এই ধরনের পরিবর্তন হয়েছে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ কবিতা, প্রবন্ধ নাকি গল্প কিসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
আয়েশা মুন্নিঃ আমি কবিতার মানুষ। কবিতায় আমার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ তরুন লেখকদের প্রতি আপনার উপদেশ?
আয়েশা মুন্নিঃ আগে জানতে হবে। তারপর লিখতে হবে।

উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীঃ ধন্যবাদ। আপনার জন্মদিনে জানাই ‘উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী’র পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আয়েশা মুন্নিঃ ধন্যবাদ আপনাকে এবং ধন্যবাদ উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকীকে।

Post a Comment

0 Comments