Advertisement

উন্মেষ

চন্দন গোস্বামী'র দুটি কবিতা; অনুবাদ - বাসুদেব দাস

কবিতা

যতই অর্থ করবে ততই
যন্ত্রণা বাড়বে
উচ্চারিত শব্দ মাত্রই কথক
পাঠক নিদারুণ মানুষ

মহাবিশ্বের আলোক বর্ষের সপ্তম মাত্রায়
অর্থ করে করে দূর দিগন্ত অভিমুখে নাবিকটি
একটা ঘাস থেকে অন্য একটি ঘাসে ঘুরে বেড়ায় জোঁক
শুয়োরের যৌনাঙ্গের রক্ত শুষে শুষে
আভাস নেয় প্রাচীনতম কথা

গুপ্তচর আকাশে-বাতাসে
জলে-স্থলে
শরীরের কোষে কোষে
যুগে যুগে গুপ্তচর গুপ্তচরকে
যে পাঠ দিল অসার
তাতে কবি দেয় সার

কার জন্য যৌনতার অচল-অটল বৃক্ষ

ছল-চাতুরির পাশাখেলায় মত্ত
আকাশ বাতাস চাঁদ সূর্য তারা  

মেঘময় ভূমি
কেউ আমাকে কিছু বলেছে বলে মনে পড়ে না
আমার আসার সময় সবাই আগুন থেকে দূরে
আলাপে মগ্ন

জল থেকে উঠে এসে প্রত্যেকেই
শরীরটা সেঁকে নেয়।

জল আর আগুন সবাইকে পরিচ্ছন্ন করে
আগুন আর জল দুজনেই দুজনের প্রাণের

এই সমস্ত কিছু জানার পরেও
ফলটা মুখে গুঁজে
কত যে শোভাযাত্রা এল গেল কত যে আশা
কত যে মায়া কে অপেক্ষা করে থাকে শেষের শব্দটা
শোনার জন্য সৈ্নিক না প্রেমিক

যুদ্ধভূমিতে আপনার মাংসে ক্ষুধা মেটানো প্রত্যেকের
বহু নরক পার হয়ে আসা
থেমে থেমে কাঁপিয়ে হৃদয়
স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের ফোঁপানিতে
পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিতের নিষ্করুণ কথা

এত পঙ্গু্ত্ব কে দূর করবে

শালিক দম্পতির ঠোঁটে ঝলসে উঠা
ভোরের রোদের কে অর্থ করে
কথার জন্য অপেক্ষা করে থাকা কথা  

ভাস্কর্য

আকাশের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়
সমস্থানিক জলযান
পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কণ্ঠ গলায় পরিভ্রমণ
সমস্ত গাছ-বৃক্ষ
কীট-পতঙ্গ
জীব-জন্তুর কথা-বার্তা  হয়ে ঝরে পড়ে নিচে
কত পুরাতন বৃষ্টির সৃষ্টি
যা তুষার খণ্ড রূপে সঞ্চয় করে রাখে
বয়ে নিয়ে বেড়ায় সৃষ্টি অনাদি অনন্ত দর্পণ
করুণতম অথবা নান্দনিক
(২)
তথাপি কে কী স্বার্থে মানুষকে পৃথিবীর
সন্তান বলে বলল
উপলদ্ধি অবিহনেই জীবনের খাঁচাটা
মানিমুনির সুকোমল শিকড় থেকে
ছড়িয়ে পড়া সতেজ সুগন্ধি
জীবনের ভাস্কর্য গড়ে

Post a Comment

1 Comments

  1. সুন্দৰ । মূল আৰু বাংলা দুয়োটটাই

    ReplyDelete