অপদেবতায় পাওয়া সময়ের গান
শুনেছি ফুরফুরে বাতাসের একটা গান
ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কেঁপে উঠছে
খড়ি বিক্রি করা ছেলেটির দুঃখ
গ্রামের উঠোনে মূর্ছা গেছে
তোর সবুজ শৈশব
অন্ধকারের ফাঁক দিয়ে বুকের গানগুলি
আগুন হয়ে জ্বলছে
মাঝরাতেও কেঁদে উঠা একটা গান শুনেছি
দেখুনতো শিলাবৃষ্টিতে খড়ির ভারটা কীভাবে ভিজছে
বোনের খালি ব্যাগটাতে
ছটফট করছে যন্ত্রণার শব্দগুলি
তোর ঠোঁটে কী গান বাজছে
বলতে চাইনা বিষাদময় কথা
স্বপ্নে জেগে উঠছে এক চিলতে আলো
চোখ মেলে তাকিয়ে আছি
শুনছি অপদেবতায় পাওয়া সময়ের গান
বাতাসে থমকে রয়েছে
এই শহরের এক অবাক দৃশ্য
ভালোবাসার একটা ঘর
দাদু-দিদা গড়ে যাওয়া ঘরটাতে
এখনও আমরা একসঙ্গে থাকি
উত্তরে হাঁড়ি দক্ষিণে গরু
বিকেলের উনুনে মজার কথা বলে
বন্য স্বপ্নের সঙ্গে খেলা করি
পিতা-মাতা গড়েছে একই ঘর
পূর্বে ভাঁড়ার পশ্চিমে খোঁয়ার
না-খাওয়ার দিন উঠোনে বসে
এক টুকরো জমি বাগান করার স্বপ্ন দেখি
পুরোনো ঘর ভেঙে নতুন ঘর তৈরি করার জন্য
একটা নক্সা আঁকছি
উত্তর থেকে দক্ষিণে
পূব থেকে পশ্চিমে
বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরটা সাজিয়ে দেখছি
ছোট শিশুটি দৌড়ে এসে
আমার কানে ফিসফিস করে বলল
নতুন ঘর বানালে তোমাদের জন্য
একটা রুম আলাদা করে রেখ
জীবনের ভাটি বয়সে
বুকের ববচা বনে
প্রেমের শিস দিয়ে মেপে রাখবে সময়।
অনুবাদকঃ বাসুদেব দাস, ভারত।
0 Comments