বাবা নামটার মধ্যে লুকিয়ে আছে একটা মমত্ববোধ আর ভালোবাসা। বাবা সন্তানকে সবসময় আগলে রাখেন। ঠিক যেমন বটগাছ। বটগাছের নীচে বসলে মানুষের মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়। বাবা হলেন বটগাছের মতো। তাঁর ছায়ায় সন্তান নিশ্চিন্তে থাকে। যতঝড়ঝাপটা সব সামলায় বাবা নিজে। সন্তানের গায়ে তার একটুও ঝাপটা তিনি লাগতে দেন না।
এই বাবা দিবসের একটি
ইতিহাস আছে। এবার,
সেই ইতিহাসের কথা একটু বলি। গ্রেস
গোল্ডেন ক্লেটন, বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যিনি
বাবা দিবসের প্রচলন করেছিলেন। পশ্চিম
ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টবাসী গ্রেস প্রথম বাবা
দিবস পালনের জন্য করেছিলেন
আবেদন। ১৯০৭
সালের ডিসেম্বর মাস। ভার্জিনিয়ার
মোনোনগাহয় ভয়াবহ খনি বিস্ফোরণে,
প্রাণ হারিয়েছিল ৩৬০ জন পুরুষ। তাদের
মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন সন্তানের বাবা।এরফলে,
এক হাজার শিশু হয়ে
পড়েছিল পিতৃহারা। এ
বিষয় খুব নাড়া দিয়ে
যায় গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটনকে। তিনি
প্রচন্ড দুঃখিত হন।
তিনি স্থানীয় মেথোডিস্ট গীর্জার যাজককে মৃত বাবাদের
সন্মানে, ১৯০৮ সালের ৫ই
জুলাই, রবিবার, বাবা দিবস হিসাবে
উৎসর্গ করার অনুরোধ করেছিলেন। কারণ,
এটি ছিল গ্রেসের মৃত
বাবার জন্মদিন।
বাবা ভালো হলে তাঁর সন্তান - সন্ততিদের মধ্যে ভালো প্রভাব পড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আমরা মহাকাব্য, মহাভারতের দিকে যদি তাকাই, দেখতে পাবো, যে, মহারাজা পান্ডুর পাঁচজন ছেলে ছিলেন এক - একজন রত্ন। যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব - এদের প্রশংসায় সবাই ছিল পঞ্চমুখ। পান্ডু রাজা হিসাবে ছিলেন খুবই মহান ও বীর। তাইজন্য, তাঁরা প্রতিটা ছেলে, ছিলেন সর্ববিদ্যায় পারদর্শী। ভীম আর অর্জুনের বীরত্বের পরিচয়, আমরা মহাভারতে, বহুবার পেয়েছি।
আর অন্যদিকে, একশত পুত্রের জনক হয়েও পিতা ধৃতরাষ্ট্র তাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দিতেই পারেননি। ধৃতরাষ্ট্র, তার ছেলে দুর্যোধনের সব অন্যায় আবদার মেনে নিয়েছিলেন। দুর্যোধন, একের পর এক অন্যায় করে গেছে পান্ডবদের ওপরে। আর ধৃতরাষ্ট্র সবকিছু দেখে -বুঝেও, নীরব থেকে, সমর্থন করে গেছেন দুর্যোধনকে। তিনি একবারও জীবনে পুত্র দুর্যোধনকে করেননি শাসন, দেননি কোন ভালো শিক্ষা। তার ফল তো আমরা সবাই জানি।
দুর্বিনীত ও অহংকারী দুর্যোধনের জন্যই ধ্বংস হয়েছিল কুরুবংশ সমূলে পান্ডবদের হাতে। তাই বাবা, হলেন সন্তানের জীবনের প্রথম শিক্ষক। সন্তান তাঁর বাবাকে দেখে শিখতে থাকে। বাবার ভালো - মন্দ গুণ তার জীবনে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
বাবা ভালো হলে তাঁর সন্তান - সন্ততিদের মধ্যে ভালো প্রভাব পড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আমরা মহাকাব্য, মহাভারতের দিকে যদি তাকাই, দেখতে পাবো, যে, মহারাজা পান্ডুর পাঁচজন ছেলে ছিলেন এক - একজন রত্ন। যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব - এদের প্রশংসায় সবাই ছিল পঞ্চমুখ। পান্ডু রাজা হিসাবে ছিলেন খুবই মহান ও বীর। তাইজন্য, তাঁরা প্রতিটা ছেলে, ছিলেন সর্ববিদ্যায় পারদর্শী। ভীম আর অর্জুনের বীরত্বের পরিচয়, আমরা মহাভারতে, বহুবার পেয়েছি।
আর অন্যদিকে, একশত পুত্রের জনক হয়েও পিতা ধৃতরাষ্ট্র তাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দিতেই পারেননি। ধৃতরাষ্ট্র, তার ছেলে দুর্যোধনের সব অন্যায় আবদার মেনে নিয়েছিলেন। দুর্যোধন, একের পর এক অন্যায় করে গেছে পান্ডবদের ওপরে। আর ধৃতরাষ্ট্র সবকিছু দেখে -বুঝেও, নীরব থেকে, সমর্থন করে গেছেন দুর্যোধনকে। তিনি একবারও জীবনে পুত্র দুর্যোধনকে করেননি শাসন, দেননি কোন ভালো শিক্ষা। তার ফল তো আমরা সবাই জানি।
দুর্বিনীত ও অহংকারী দুর্যোধনের জন্যই ধ্বংস হয়েছিল কুরুবংশ সমূলে পান্ডবদের হাতে। তাই বাবা, হলেন সন্তানের জীবনের প্রথম শিক্ষক। সন্তান তাঁর বাবাকে দেখে শিখতে থাকে। বাবার ভালো - মন্দ গুণ তার জীবনে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
আমার
বাবা অমল গুহ, খুবই
পরোপকারী মানুষ। উনি
সারা জীবন অনেক মানুষের
নানা রকম উপকার করেছেন। মানুষের
বিপদে, তাঁকে দেখেছি
সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাঁর
কাছ থেকে জীবনে এই
শিক্ষা পেয়েছি, যে, মানুষ মানুষের
জন্য। মানুষের
মনুষ্যত্ব প্রকাশ পায় তার
মানবিকতায়। মানুষের
বিপদে তাদের পাশে গিয়ে
দাঁড়াতে হয়।
একজন আদর্শ বাবা হতে গেলে কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত। সেগুলো হলঃ
১. অনেক বাবা আছেন, যারা কারণে - অকারণে, সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব ফলান, যা একদম অনুচিত। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। মনে রাখবেন, যখনই কোন বাবা সন্তানের ওপরে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করে, তখনই কিন্তু, বাবার সাথে সন্তানের মধ্যে একটা বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়। তাই, বাবাদের উচিত সবসময় সন্তানদের সাথে বন্ধুর মতো মেশা।
২. বাবাকে দেখতে হবে, যাতে সন্তান কখনও নিজেকে একা না ভাবে। অনেক সময় সন্তান অনেক কথা বাবাকে বলতে গিয়েও পারে না বলতে। এই জিনিস ঘটতে দেওয়া যাবে না। এরফলে, সন্তানের মনের ওপরে প্রচুর চাপ পড়বে। এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সন্তান কখনো করে নেশা, কখনো খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, আবার কখনো আত্মহত্যা করে।
৩. বাবারা নানা কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকেন। তারা সন্তানদের একদম সময়ই দিতে পারেন না। এরকম কিন্তু কখনো করা উচিত নয়। সন্তানেরা তাদের বাবাদের অন্তত একটা সময় কাছে পেতে চায়। বাবাকে তাদের অনেক কথা বলার থাকে।
কিন্তু, বাবা যখন সন্তানকে সময় দেয় না, তখন সন্তানের প্রবল অভিমান হয় বাবার ওপরে। এতে সন্তানের ডিপ্রেশন হতে পারে।
৪. সন্তানদের কাছে তাদের বাবারা সবসময় সুপারহিরো অথবা ভালো মানুষ। বাবাদের এমন কাজ করা উচিত নয়, যাতে, সন্তানেরা বাবাদের খারাপ ভাবতে শুরু করে। এর প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। এর জন্য, সন্তানের জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে।
৫. সন্তানকে বাবাদের উচিত সবসময় সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করা। কারণ, কুশিক্ষা সন্তানের জীবনকে করে দিতে পারে ধ্বংস।
৬. বাবার উচিত, সন্তানদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসার ভারসাম্য বজায় রাখা। সন্তানকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে তার বিকাশ ঘটে সুস্থ। আবার, তাকে বেশি স্বাধীনতা দেওয়া যাবে না, যাতে সে চলে যায় বিপথে।
৭. সন্তানের সামনে বাবাদের কখনোই অন্যের সমালোচনা করা যাবে না এবং অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। এতে সন্তানের মনে কুপ্রভাব পড়বে।
একজন আদর্শ বাবা হতে গেলে কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত। সেগুলো হলঃ
১. অনেক বাবা আছেন, যারা কারণে - অকারণে, সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব ফলান, যা একদম অনুচিত। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। মনে রাখবেন, যখনই কোন বাবা সন্তানের ওপরে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করে, তখনই কিন্তু, বাবার সাথে সন্তানের মধ্যে একটা বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়। তাই, বাবাদের উচিত সবসময় সন্তানদের সাথে বন্ধুর মতো মেশা।
২. বাবাকে দেখতে হবে, যাতে সন্তান কখনও নিজেকে একা না ভাবে। অনেক সময় সন্তান অনেক কথা বাবাকে বলতে গিয়েও পারে না বলতে। এই জিনিস ঘটতে দেওয়া যাবে না। এরফলে, সন্তানের মনের ওপরে প্রচুর চাপ পড়বে। এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সন্তান কখনো করে নেশা, কখনো খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, আবার কখনো আত্মহত্যা করে।
৩. বাবারা নানা কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকেন। তারা সন্তানদের একদম সময়ই দিতে পারেন না। এরকম কিন্তু কখনো করা উচিত নয়। সন্তানেরা তাদের বাবাদের অন্তত একটা সময় কাছে পেতে চায়। বাবাকে তাদের অনেক কথা বলার থাকে।
কিন্তু, বাবা যখন সন্তানকে সময় দেয় না, তখন সন্তানের প্রবল অভিমান হয় বাবার ওপরে। এতে সন্তানের ডিপ্রেশন হতে পারে।
৪. সন্তানদের কাছে তাদের বাবারা সবসময় সুপারহিরো অথবা ভালো মানুষ। বাবাদের এমন কাজ করা উচিত নয়, যাতে, সন্তানেরা বাবাদের খারাপ ভাবতে শুরু করে। এর প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। এর জন্য, সন্তানের জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে।
৫. সন্তানকে বাবাদের উচিত সবসময় সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করা। কারণ, কুশিক্ষা সন্তানের জীবনকে করে দিতে পারে ধ্বংস।
৬. বাবার উচিত, সন্তানদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসার ভারসাম্য বজায় রাখা। সন্তানকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে তার বিকাশ ঘটে সুস্থ। আবার, তাকে বেশি স্বাধীনতা দেওয়া যাবে না, যাতে সে চলে যায় বিপথে।
৭. সন্তানের সামনে বাবাদের কখনোই অন্যের সমালোচনা করা যাবে না এবং অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। এতে সন্তানের মনে কুপ্রভাব পড়বে।
৮. সন্তান কোন খারাপ কাজ করলে, বাবার উচিত তাকে শাসন করা। তাকে শাসন না করে, তাকে প্রশ্রয় দিলে, সন্তান কিন্তু উচ্ছন্নে যাবে।
৯. পারিবারিক যেকোন কাজে সন্তানের সাথে বাবাদের পরামর্শ করা উচিত। তাতে, সংসারে যে সন্তানের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা সে হৃদয়ে উপলব্ধি করতে পারবে।
আজ বিশ্ব বাবা দিবসে, আসুন না, আমরা শপথ গ্রহণ করি, যে, আমরা আর কখনো আমাদের বাবাদের করবো না অবহেলা, তাদের ভালোবাসবো, শ্রদ্ধা করবো, আর কখনো পাঠাবো না বৃদ্ধাশ্রমে। কারণ, বাবা হলেন বটগাছের মতো।
( তথ্য সংগৃহীত)
লেখকঃ শিবব্রত গুহ
৩/এ, কে.পি.রায়.লেন, কোলকাতা - ৭০০ ০৭৮।
1 Comments
অপূর্ব দাদা।অনেককিছুজানলাম। ধন্যবাদ❤
ReplyDelete